বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ২৮ কার্তিক ১৪৩১ ।। ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


পিলখানা হত্যাকাণ্ড দিবস আজ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: পিলখানা হত্যাকাণ্ড দিবস আজ। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় তখনকার বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) সদর দপ্তরে বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা ও একজন সৈনিক ছাড়াও বেশ কয়েকজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হন। আজ এবং আগামীকাল তাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিজিবি।

গতকাল সোমবার বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি তত্কালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তর, পিলখানায় সংঘটিত বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে শহীদদের স্মরণে ২৫ ফেব্রুয়ারি (আজ) শাহাদাতবার্ষিকী পালিত হবে।

দিনের কর্মসূচি অনুযায়ী শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তরসহ সব রিজিয়ন, সেক্টর, প্রতিষ্ঠান ও ইউনিটে খতমে কোরআন, বিজিবির সব মসজিদে এবং বিওপি পর্যায়ে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হবে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় ২৫ ফেব্রুয়ারি (আজ) সকাল ৯টায় বনানী সামরিক কবরস্থানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধানগণ (সম্মিলিতভাবে), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং বিজিবি মহাপরিচালক (একত্রে) শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এছাড়া দিবসটি পালন উপলক্ষে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) যেসব স্থানে রেজিমেন্টাল পতাকা উত্তোলন হয় সেসব স্থানে বিজিবি পতাকা অর্ধনিমিত থাকবে এবং বিজিবির সব সদস্য কালো ব্যাজ ধারণ করবেন।

২৬ ফেব্রুয়ারি বাদ আসর পিলখানার কেন্দ্রীয় মসজিদে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথি থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এ ছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, বিজিবি মহাপরিচালক, শহীদদের নিকটাত্মীয়, পিলখানায় কর্মরত সব অফিসার, জুনিয়র কর্মকর্তা, সৈনিক এবং বেসামরিক কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করবেন।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের এই দিনে পিলখানায় তত্কালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দফতরে ঘটে যায় এক মর্মান্তিক নৃশংস ঘটনা। সেদিন সকাল ৯টা ২৭ মিনিটের দিকে বিজিবির বার্ষিক দরবার চলাকালে দরবার হলে ঢুকে পড়ে একদল বিদ্রোহী সৈনিক। বিদ্রোহীরা দরবার হল ও এর আশপাশ এলাকায় সেনা কর্মকর্তাদের গুলি করে হত্যা করে।

ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পর এ বিদ্রোহের অবসান হয়। ততক্ষণে রক্তাক্ত প্রান্তরে পরিণত হয় পিলখানা। পরে পিলখানা থেকে আবিষ্কৃত হয় গণকবর। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় সেনা কর্মকর্তাদের লাশ। এ হত্যাযজ্ঞে ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, ১ জন সৈনিক, দুই সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী, ৯ বিজিবি সদস্য ও ৫ জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হন।

ওই বিদ্রোহের ঘটনায় দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে দায়ের করা হত্যা মামলায় বিশেষ আদালত ১৫২ জনকে ফাঁসি, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ