শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা ইসলামি লেখক ফোরামের বৈঠক অনুষ্ঠিত, আসছে নতুন কর্মসূচি সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কারাগারে উত্তপ্ত খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা নেতানিয়াহুকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ইসরায়েলি নাগরিক গ্রেপ্তার

গণহত্যা হত্যা: আইসিজের রায়কে স্বাগত জানালো সাইপ্রাস

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারে বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) রায়কে স্বাগত জানিয়েছে সাইপ্রাস।

সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনকে লেখা এক চিঠিতে আইসিজের রায়কে স্বাগত জানায় সাইপ্রাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোস ক্রিস্টোডাউলিডেস।

আজ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এক বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়।

বার্তায় সাইপ্রাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোস ক্রিস্টোডাউলিডেস জানান, সাইপ্রাস প্রথম থেকেই রোহিঙ্গা বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গভীর উদ্বেগ পর্যবেক্ষণ করছে। সাইপ্রাস বিশ্বাস করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুসারে, রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও কল্যাণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসা উচিত।

সাইপ্রাস দেশটির এবং বৈদেশিক নীতিতে মানবাধিকার, ন্যায়বিচার এবং আন্তর্জাতিক আইন সমর্থন করে বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোস ক্রিস্টোডাউলিডেস। চিঠিতে সাইপ্রাস আন্তর্জাতিক আইন, মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা জানায় বলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বার্তায় জানানো হয়।

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মিয়ানমারকে দোষী প্রমাণিত করার চেষ্টায় মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে নিয়ে গেছে গাম্বিয়া। আর এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন দেশটির আইনমন্ত্রী আবুবকর মারি তামবাদু এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মামাদু তাঙ্গারা।

গাম্বিয়ার করা মামলায় নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) রোহিঙ্গাদের গণহত্যার বিপদ থেকে সুরক্ষায় আইসিজে সর্বসম্মতভাবে মিয়ানমারের প্রতি চার দফা অন্তর্র্বতী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

নির্দেশনাগুলো হলো-

১. রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সদস্যদের হত্যা বা হত্যার চেষ্টা, তাদের শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি করার চেষ্টা, তাদের জীবনযাপনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন কোনো পদক্ষেপ কিংবা ওই জনগোষ্ঠীর জন্মহার কমানোর যে কোনো ধরনের চেষ্টা বন্ধের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা মিয়ানমারকে অবশ্যই নিতে হবে।

২. মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বা কোনো সশস্ত্র গ্রুপ যেন এমন কোনো কর্মকাণ্ড না ঘটায় যা গণহত্যা বা গণহত্যার ষড়যন্ত্রের অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

৩. গণহত্যার অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো আলামত ধ্বংস করা যাবে না, বরং সেগুলো যাতে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হয়, তা মিয়ানমারকে নিশ্চিত করতে হবে।

৪. এই আদেশের ভিত্তিতে মিয়ানমার কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে সে বিষয়ে এই আদেশ হওয়ার চার মাসের মধ্যে আইসিজেতে প্রতিবেদন দিতে হবে। তারপর আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার আগ পর্যন্ত প্রতি ছয় মাস পরপর অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে হবে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ