শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই: ধর্ম উপদেষ্টা পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটিতে আলেম অন্তর্ভুক্তির দাবি হেফাজতে ইসলামের সিংগাইরে হেফাজতে ইসলামের গণসমাবেশ ২৯ সেপ্টেম্বর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা হলে ‘হাত ভেঙে’ দেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ‘জুলাই বিপ্লবে আলেম-শিক্ষার্থীদের অবদান ও প্রত্যাশা’ নিয়ে আলোচনা সভা সোমবার সিলেটে অনুষ্ঠিত বিহানের ‘লেখালেখি ও এডিটিং কর্মশালা’ দেশে ফিরে কর্মফল ভোগ করুন, শেখ হাসিনাকে জামায়াতের আমির রাষ্ট্র সংস্কারে ইসলামবিরোধী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না: জাতীয় পরামর্শ সভা যাত্রাবাড়ীতে জাতীয় পরামর্শ সভায় গৃহীত হলো ৭ প্রস্তাব বারিধারায় হেফাজতে ইসলামের পরামর্শ সভা শুরু

আসামে আদিবাসী মুসলিম খুঁজে বের করতে জরিপের পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: আসামে আদিবাসী মুসলিম জনগোষ্ঠীকে সনাক্ত করার একটি পরিকল্পনা করছে ভারতের আসাম রাজ্য সরকার। এর মধ্য দিয়ে কথিত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের আলাদা করারও পরিকল্পনা রয়েছে। ওদিকে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসির যথার্থতা নিয়ে এখনও সংশয় আছে।

আজ মঙ্গলবার আসাম সরকারের ওই পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠক আহ্বান করেছেন সংখ্যালঘু কল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রী রণজিৎ দত্ত। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডেকান হেরাল্ড। এতে বলা হয়, আজকের এই বৈঠকে তিনি আসামের চারটি সম্প্রদায় গোরিয়া, মোরিয়া, দেশি ও চা প্রধান এলাকার জোলা’দের এবং অন্যান্য অংশীদারদের ডেকেছেন।

এতেই ওই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার কথা রয়েছে। এই পরিকল্পনায় মুসলিম বাদেরও ওই চারটি সম্প্রদায়ের লোকজনকে সনাক্ত করতে জরিপ চালানোর কথা বলা হয়েছে।

আসাম মাইনরিটি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান মুমিনুল আওয়াল বলেছেন, আসামে প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ মুসলিম রয়েছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রায় ৯০ লাখ। বাকি ৪০ লাখ বিভিন্ন উপজাতি গোষ্ঠীর। তাদেরকে সনাক্ত করা প্রয়োজন।

যথাযথ সনাক্তকরণের অভাবে সরকারের সমাজ কল্যাণমুলক স্কিমগুলোর সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছেন আদি মুসলিমরা। তিনি আরো বলেন, কয়েক লাখ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এনআরসিতে। তাই আমরা এর (এনআরসি) উপর নির্ভর করতে পারি না।

যদি আমরা এখনই ব্যবস্থা না নিই, তাহলে একদিন আসাম থেকে সব আদিবাসী উপজাতি গোষ্ঠী নির্মূল হয়ে যাবে। একবার এসব উপজাতি গোষ্ঠীকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়া হলে তা হবে অধিক উত্তম এবং এসব মানুষের উন্নয়নে কাজ করা হবে সহজ। উপজাতি গোষ্ঠীর একজন প্রতিনিধি হিসেবে আমি ২০১৫ সালে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাত করেছি। তার কাছে আদিবাসী গ্রুপগুলো এমন একটি জরিপ প্রত্যাশা করে।

কিভাবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে? এ প্রশ্নের জবাবে আওয়াল বলেছেন, আমরা রেজিস্ট্রার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার (আরজিআই) কাছ থেকে অনুমোদন চেয়ে আবেদন করতে অনুরোধ করবো রাজ্য সরকারকে। আরজিআইয়ের অনুমোদন ছাড়া এই জরিপের কোনো আইনগত বৈধতা থাকবে না।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ