শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটিতে আলেম অন্তর্ভুক্তির দাবি হেফাজতে ইসলামের সিংগাইরে হেফাজতে ইসলামের গণসমাবেশ ২৯ সেপ্টেম্বর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা হলে ‘হাত ভেঙে’ দেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ‘জুলাই বিপ্লবে আলেম-শিক্ষার্থীদের অবদান ও প্রত্যাশা’ নিয়ে আলোচনা সভা সোমবার সিলেটে অনুষ্ঠিত বিহানের ‘লেখালেখি ও এডিটিং কর্মশালা’ দেশে ফিরে কর্মফল ভোগ করুন, শেখ হাসিনাকে জামায়াতের আমির রাষ্ট্র সংস্কারে ইসলামবিরোধী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না: জাতীয় পরামর্শ সভা যাত্রাবাড়ীতে জাতীয় পরামর্শ সভায় গৃহীত হলো ৭ প্রস্তাব বারিধারায় হেফাজতে ইসলামের পরামর্শ সভা শুরু ফ্যাসিবাদী সরকারের মূল দায়িত্বের কর্মকর্তারা এখনও অটল রয়ে গেছে

রাসুল সা. কাফেরদের আঘাতে রক্তাক্ত হয়ে বসা জায়গায় তায়েফের মসজিদুল কুউ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম।।

সৌদি আরবের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ইসলামি ঐতিহ্যবাহী তায়েফে আবু জেবিদার পাহার ও বাগানসমুহের মাঝে একটি ঐতিহাসিক মসজিদ রয়েছে। বহু শতাব্দী পূর্বে এ মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানা যায়।

শতাব্দী আগে নির্মিত মসজিদটি আল-কাআর অন্যতম প্রাচীন মসজিদ। শতাব্দী পেরিয়ে যাওয়ার পরেও এই মসজিদের জাঁকজমক এখনও পুরোদমে চলছে। আগের মতই সৌন্দর্যের প্রতিক হিসেবে মাথা উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

সৌদি আরবের পর্যটক ও প্রত্নতাত্ত্বিক ওয়ালিদ আল আবেদী মসজিদ আল-কুউ এর  গুরুত্ব তুলে ধরে আল আরবিয়া ডটকমকে বলেন, মসজিদটি যেখানে নির্মিত হয়েছিল সেখানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাত্রার সময় কিছুটা সময় অবস্থান করেছিলেন।

এ মসজিদটি ‘মসজিদ আল-মাওকিফ’ নামেও পরিচিত। কথিত আছে যে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তায়েফের যাত্রায় এখানে কিছুকাল অবস্থান করেছিলেন। এখানেই মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল।

আল আবেদী আরও বলেছেন, এখানে একটি বর্গাকার আকৃতির মসজিদ নির্মিত হয়েছিল সর্বপ্রথম, যার দৈর্ঘ্য ৮ মিটার এবং প্রস্থ ৭ মিটার ছিল। মসজিদটি তিন মিটার উঁচুতে নির্মিত হয়েছে। এর উন্মুক্ত মাঠ চার মিটার প্রস্থ এবং সাত মিটার লম্বা।

মসজিদটির একপাশে বর্গাকার আকৃতির জানালাসহ একটি ছোট মাজার রয়েছে। দুটি দেয়ালে দুটি আয়তক্ষেত্রাকার জানালা রয়েছে। মসজিদের ছাদে একটি ছোট গম্বুজ রয়েছে, দৈর্ঘ্যে ৮০ সেন্টিমিটার এবং উচ্চতা তিন মিটার। মহানবি সা. এর প্রথম সফরের করুণ স্মৃতিতে এ মসজিদে আগত দর্শনার্থীরা এখনও হারিয়ে যায় অজনায়। তায়েফের ময়দানে রাসুল সা. কে পাথর মেরে আহত করেছিলো কাফেররা। শরীরের একটি জায়গাও বাকি ছিলো না যেখানে রক্তের দাগ ছিলো না। রক্তাক্ত শরীরে আর আহত মনে ফিরে গিয়েছিলেন তিনি মক্কায়।

এছাড়াও ইতিহাসের পাতায় তায়েফ নানা কারণে আলোচিত। মক্কা থেকে তায়েফ নগরের দূরত্ব প্রায় ১২০ কিলোমিটার। এর উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৬ হাজার ফুট। পুরো শহরটিই গড়ে উঠেছে পাহাড়ের ওপর। মক্কা থেকে প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা সময় লাগে তায়েফ আসতে।

তায়েফকে বলা হয়, ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক সৌন্দের্যের লীলাভূমি। চমৎকার সাজানো-গোছানো শহর। শহড়জুড়ে রয়েছে নানা ভাস্কয। বাদশা ফয়সাল ও বাদশা খালেদের আমলে শীতকালীন রাজধানী হিসেবে গণ্য করা হতো। বাদশা খালেদের আমলে এখানে ইসলামি শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।

আল-আরাবিয়া থেকে আবদুল্লাহ তামিমের অনুবাদ

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ