বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ২৮ কার্তিক ১৪৩১ ।। ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


আজহারী বিতর্ক: ভাইরাল বক্তব্য নিয়ে যা বললেন মাওলানা মামুনুল হক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রকিব মুহাম্মদ ।।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাজধানীর জামিয়ার রাহমানিয়া আরাবিয়ার মুহাদ্দিস ও বিশিষ্ট ইসলামি আলোচক শাইখুল হাদীস মাওলানা মামুনুল হকের বক্তব্যের কয়েকটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।

ওয়াজ মাহফিলের বিভিন্ন দিক নিয়ে সেই বক্তব্যে তিনি আলোচনা করেছেন। পাশাপশি ‘ইউটিউব বক্তাদের’ থেকে সতর্কতা অবলম্বন করার কথাও বলেন তিনি। এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে সৃষ্টি হয়েছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।

১৫ মিনিট ৫৫ সেকেন্ডের ভাইরালে এক বক্তব্যের শুরুতে মাওলানা মামুনুল হক বলেন, মুনাফিকরূপে সমাজের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করাই কিছু বক্তার কাজ। কুরআনের আয়াত পড়ে পড়ে উল্টা ফতোয়া দিবে, নবীর হাদিস পড়ে পড়ে উল্টা ফতোয়া দেবে, যাতে মুসলমানরা বিভ্রান্ত হয়ে যায়, মুসলমানদের মধ্যে যেন বিভ্রান্তি তৈরি হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, কোথা থেকে কোন এক নতুন গবেষক চলে আসছে, তার পেছনে অন্ধের মতো তোমরা ছুটবানা। আজকে আমাদের মধ্যে এই এক রোগ, নতুন নতুন চমক তৈরি হয়, ব্যস চমক একজন উঠছে, গোটা জাতি ছুটছে চমকের পেছনে। ওই রকম শত শত ওলামায়ে কেরামের পথ ছেড়ে দিয়ে ওই এক ইউটিউবের চমকের পেছন সব ছুটছে।

https://www.facebook.com/ShaykhmaMununulHaqueSupportPage/videos/3010244325676021/

 

এছাড়াও আরও কয়েকটি ভিডিওতে সাম্প্রতিক সময়ের ওয়াজ মাহফিল বিতর্ক, মাহফিলগুলোতে বক্তাদের অশোভন আচরণ, ফতোয়া প্রদান ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি। মুহুর্তেই মাওলানা মামুনুল হকের এসব বক্তব্য ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে।

এরপরই দেশের আলোচিত ও সমালোচিত বক্তা মিজানুর রহমান আজহারীসহ বেশকিছু বক্তার সমালোচনায় তিনি এ বক্তব্য দিয়েছেন বলে অনেকে ধারণা করছেন। এ নিয়ে মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ওই সকল বক্তাদের ভক্তরা সামাজিক মাধ্যমে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।

এদিকে এই বিতর্কের জেরে মাওলানা মামুনুল হক শনিবার নিজের ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেছেন। ‘এবার ক্ষ্যান্ত দিন…!’ শিরোনামে ওই পোস্টও মুহুর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।

https://www.facebook.com/permalink.php?story_fbid=2660843680666470&id=677003569050501

ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, … এ জন্যই আমি অপরিচিত ইউটিউবারদেরকে আমার বয়ান রেকর্ড করতে দিতে চাই না ৷ তাদের অনেকেই নিজেদের সামান্য ভিউয়ার বাড়ানোর স্বার্থে যুদ্ধ বাধিয়ে দিতেও ইতস্তত করে না ৷ ইতিপূর্বে সরকারীভাবে ওয়ায়েজদের নামের তালিকা প্রণয়নের সময়ও লক্ষ করেছিলাম, আলোচকের আলোচনার উপর ইউটিউবারদের জুড়ে দেয়া মনগড়া শিরোনামগুলোই বড় সমস্যা তৈরি করছে ৷

আমি এমনিতেও ইসলামপন্থীদের পারস্পরিক শাখাগত মতবিরোধপূর্ণ বিষয় নিয়ে খুব একটা কথা বলি না ৷ যে কোনো পন্থী কোনো আলেমের উপরই ব্যক্তিআক্রমন আমার স্বভাব নয় ৷ আমি একটি ইসলামী বিপ্লবের স্বপ্ন নিয়ে পথ চলি ৷ আমার প্রধান প্রতিপক্ষ হল নাস্তিক-মুরতাদ ও সেই সকল মতবাদীরা যারা সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার বিরোধী ৷

যেই আলোচনার শিরোনামকে কেন্দ্র কিছু ভাই বিভ্রান্তির শিকার হয়েছেন, তাতে আমার প্রধান লক্ষ্য ছিল মুসতাশরিকীনদের বিষয়ে জাতিকে সতর্ক করা এবং নিজেদের পরিচিত আমলদার হক্কানী ওলামায়ে কেরামের মত ও পথের অনুসরণের আহ্বান জানানো ৷ পবিত্র কুরআনেই তো বলা হয়েছে-

اطيعواالله واطيعواالرسول واولى الامر منكم

আনুগত্য কর আল্লাহ, আল্লাহর রাসূল সঃ ও উলুল আমরদের ৷ আর উলুলআমরের দ্বারা অনেক মুফাসসিরগণই আমলদার ওলামায়ে কেরামকে উদ্দেশ্য নিয়েছেন ৷ তাহলে আলেমদের অনুসরণ করতে বলা কি ভুল?

মূলত কিছু অতিউৎসাহী লোক আমার আলোচনা না বুঝে আলোচনার উপর ইউটিউবারের জুড়েদেয়া শিরোনাম দেখেই আদাপানি খেয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন ৷ আল্লাহ সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন ৷ আমীন ৷’

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ