শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ভারতের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ জয়পুরহাটে ১৫৫ মণ সরকারি চাল সহ আটক দুই তাপপ্রবাহ নিয়ে নতুন সংবাদ দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর রাঙামাটিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর

বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট মসজিদ বগুড়ায়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বগুড়ার সান্তাহার উপজেলার গ্রাম তারাপুর। এ গ্রামে কোনো এককালে নির্মিত হয়েছিলো ছোট্ট একটি মসজিদ। ভেতরে মাত্র তিনজন মানুষের নামাজ আদায় করার মতো জায়গা আছে। এত ছোট মসজিদের ওপর একটি গম্বুজও রয়েছে।

মিনারের ধ্বংসাবশেষও দেখা যায়। গম্বুজটি পুরো মসজিদকে ঘিরে রেখেছে। বর্তমান মসজিদটি অবহেলা আর অনাদৃত অবস্থায় পড়ে আছে গ্রামের এক কোণে। যেন ভূতুড়ে কোনো বাড়ি। দেয়ালের আস্তরণ খসে পড়েছে অনেক আগেই। দেয়াল ফুঁড়ে গজিয়ে উঠেছে জংলি গাছ আর লতাগুল্ম। পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে আছে মসজিদটি।

মসজিদের উচ্চতা ১৫ ফুট, প্রস্থ আট ফুট এবং দৈর্ঘ্য আট ফুট। মসজিদে প্রবেশের জন্য চার ফুট উঁচু আর দেড় ফুট চওড়ার একটি দরজা রয়েছে। একজন মানুষ অনায়াসে সেখান দিয়ে ঢুকতে বা বের হতে পারে। মসজিদের দেয়ালে কোনো জানালা তৈরি করা হয়নি।

পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে এর চেয়ে ছোট মসজিদের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানা যায়নি। এটি শুধু বাংলাদেশেরই নয়; বরং বিশ্বের সবচেয়ে ছোট মসজিদ বলেও ধারণা করছে অনেকে।

মসজিদের দেয়াল দেড় ফুটের মতো চওড়া। এটি নির্মাণে ব্যবহূত হয়েছে ভাঙা ইট আর সিমেন্ট। মসজিদের দরজায় দুটি রাজকীয় নির্দেশনার আদলে নির্মিত খিলান রয়েছে। দেয়ালের যে অংশ এখনো টিকে আছে, সেখানে অপূর্ব কারুকার্যের ছাপ এখনো স্পষ্ট।

স্থানীয় বৃদ্ধদের থেকে জানা যায়, আনুমানিক ১৫০ বছর আগে তত্কালীন গ্রাম্য সালিসে একটি পরিবারকে একঘরে করে দেওয়া হয়েছিল। সেই পরিবারের কাউকে কারো সঙ্গে ওঠাবসা করতে দেওয়া হতো না। এ জন্য সেই একঘরে পরিবারের সদস্যরা নামাজের জন্য মসজিদটি নির্মাণ করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতেন।

আবার কেউ কেউ বলেন, অত্যন্ত পরহেজগার একজন নারী ছিলেন তারাপুরে। রানী ভবানী সে নারীর নামাজের সমস্যা হয় বিধেয় রাজকীয় নকশায় মসজিদটি তৈরি করে দেন। অনেকে বলেন, ছোটবেলা থেকে মসজিদটি এ রকমই দেখে আসছেন তারা।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ