আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরামের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবসে দিনব্যাপী লেখালেখির বুনিয়াদি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে সাভারের হেমায়েতপুরে। জামিয়া সিদ্দীকিয়া যাদুরচর মাদরাসায় সোমবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে কর্মশালা চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। পুরো আয়োজনের ব্যবস্থাপনায় ছিল শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘আমরা এক কাফেলা’।
কর্মশালায় যাদুরচরসহ বিভিন্ন মাদরাসার দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। লেখালেখির প্রয়োজনীয় বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন ইসলামী ধারার খ্যাতিমান লেখকরা। উপস্থিত প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। ‘আমরা এক কাফেলা’র পক্ষ থেকে প্রশিক্ষকদের সম্মাননা দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জামিয়া সিদ্দীকিয়া যাদুরচর মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল এবং ইত্তিহাদুল উলামা সাভারের সেক্রেটারি জেনারেল শাইখুল হাদিস হাফেজ মাওলানা আলী আকবর কাসেমী। প্রধান আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট আলেম লেখক মাওলানা মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন।
‘আমরা এক কাফেলা’র সভাপতি মুফতী আবদুল্লাহ ফিরোজীর সভাপতিত্বে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করেন বার্তা২৪ ডটকমের বিভাগীয় সম্পাদক মুফতি এনায়েতুল্লাহ, ঢাকা টাইমসের বার্তা সম্পাদক জহির উদ্দিন বাবর, বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মুনীরুল ইসলাম, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব গাজী মুহাম্মদ সানাউল্লাহ, মাদরাসাতুল মানসুর বাংলাদেশের মুহতামিম মুহিউদ্দীন কাসেমী, দৈনিক কালের কণ্ঠের সহসম্পাদক আতাউর রহমান খসরু এবং দৈনিক সময়ের আলোর বিভাগীয় সম্পাদক আমিন ইকবাল।
আরও বক্তব্য দেন যাদুরচর মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা নোমান কাসেমী, রাজাশন মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুল মান্নান পাটোয়ারি, চান্দুলিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আলী আশরাফ তৈয়ব, গেরুয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতী মাহবুবুর রহমান নবাবগঞ্জী, আনওয়ারুল উলূম মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতী শাহেদ জহিরী, রাজারবাড়ী মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতী নাজমুল হাসান বিন নূরী, আহসানুল উলূম মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, বাইতুল হাবীব জামে মসজিদের (হেমায়েতপুর) খতিব হাফেজ মাওলানা শফিকুল ইসলাম এবং লেখক ফোরামের নির্বাহী কমিটির সদস্য মিযানুর রহমান জামীল প্রমুখ।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে মাওলানা যাইনুল আবিদীন বলেন, লিখনির মাধ্যমে মানুষ যুগ যুগ টিকে থাকে এবং অন্যরা তাকে যুগ যুগ ধরে জানতে পারে। যারা লিখে যান না তাদেরকে মানুষ একসময় ভুলে যায়। লিখনির মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরা যায়। সাধারণ শিক্ষিতদের কাছে ইসলামের বার্তা পৌঁছে দেয়া যায়। এজন্য সময়ের ভাষায় লিখতে এবং নিজেদের যোগ্যতা অনুযায়ী পাঠ করতে তাগিদ দেন খ্যাতিমান এই লেখক।
বিশিষ্ট এই আলেম লেখক বলেন, মানুষ তার স্বপ্নের সমান নয়, সাধনার সমান বড়। যে যত সাধনা করবে তত বড় হতে পারবে। মুহিউদ্দীন খান নামটি বলতে দুই সেকেন্ড লাগে, কিন্তু একজন মুহিউদ্দীন খান হয়ে উঠতে অনেক সময় লেগেছে।
তরুণ লেখকদের উদ্দেশে নির্দেশনামূলক বক্তব্যে তিনি বলেন, উস্তাদের তত্ত্বাবধানেই সাহিত্য করতে হবে। লেখালেখি করতে গিয়ে যেন উস্তাদের সঙ্গে বেয়াদবি না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
প্রসঙ্গত, তরুণদের লেখালেখিতে আগ্রহী এবং যোগ্য করে গড়ে তুলতে সম্প্রতি উদ্যোগ নেয় লেখকদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরাম। ইতোমধ্যে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বেশ কিছু বুনিয়াদি কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে। এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ফোরামের দায়িত্বশীলেরা।
আরএম/