বেলায়েত হুসাইন ♦
মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় গ্রন্থ পবিত্র কুরআনুল কারীম অবতীর্ন হয়েছিল আজ থেকে প্রায় সাড়ে চৌদ্দশো বছর আগে মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সা. এর ওপর।
সেই সময় নানা প্রেক্ষাপটে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ন হতো নানা আয়াত। সাহাবাগণ রা. আয়াতগুলো সংরক্ষণের জন্য তা লিখে রাখেতেন চামড়া পাথর বা কাঠ জাতীয় বস্তুর ওপর; কুরআন হাতে লেখার এই প্রচলন ছিল সপ্তদশ শতাব্দীর প্রায় শেষ পর্যন্ত,অবশেষে ১৭৮৭ খ্রিষ্টাব্দে জার্মানীর শহর সেন্টপিটাস বুর্গে সর্বপ্রথম ছাপার অক্ষরে আল কুরআন মুদ্রিত হয়ে মানুষের হাতে আসে।
তবে ঐতিহ্যের স্মারক হিসেবে বিভিন্ন যুগে হাতে লেখা কুরআনের সেই সব পান্ডুলিপি আজও অতি সযত্নে সংরক্ষণ করে রেখেছে মানুষ;বার্মিংহাম সানা ইস্তাম্বুল সমরকন্দ-সহ অনেক শহরে সেই সময়ের একাধিক প্রাচীন পান্ডুলিপি পাওয়া যায়।
এদিকে অতি সম্প্রতি ইরানের রাজধানী তেহরানে অনুষ্ঠিত হয়েছে একটি ইসলামি ঐতিহ্য-প্রদর্শণী,নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে শুরু হওয়া ৮ দিন ব্যাপী প্রদর্শণীতে ইসলামি ইতিহাসের প্রাচীনতম অন্তত ৪০টি বস্তু উপস্থাপন করা হয়েছে-এগুলোর মধ্যে প্রাচীন যুগীয় কুরআনের পান্ডুলিপি,ইসলামি চিত্রকর্ম ,ইসলামি ইতিহাসের নানান দলীলপত্র এবং পুরনোদিনে ব্যবহৃত মসজিদের চাটাই উল্লেখযোগ্য।
তবে দর্শণার্থীদের সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ ছিল হাজার বছরের পুরনো আল কুরআনের কয়েকটি পান্ডুলিপির প্রতি।
ইন্টারন্যাশনাল কুরআন নিউজ এজেন্সির দেয়া তথ্যমতে কুফীয় হস্তশৈলিতে লিপিবদ্ধ এসব পান্ডুলিপির বয়স হাজার বছরেরও বেশি; হিজরী তৃতীয় বা চতুর্থ শতাব্দীতে চামড়ার ওপরে লিখিত পান্ডুলিপিগুলো প্রাচীন ইসলামি ঐতিহ্যের স্মারক!
কুরআনে কারীমের পুরনো এই পান্ডুলিপিগুলো এক নজর দেখতে হাজার হাজার মানুষ ভীড় জমায় তেহরানের এই প্রদর্শণীতে-এতেই পরিস্কার হয় কুরআনের প্রতি মানুষের ভালবাসা এবং আকর্ষণ কতটা গভীর! যা শুধু অনুভবই করা যায়; বর্ণনা করা খুব কঠিন।
ইকনা আরবি নিউজ থেকে বেলায়েত হুসাইনের অনুবাদ
-এটি