সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ ।। ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ১০ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আনিসুজ্জামান চৌধুরী বিরতিকে কাজে লাগিয়ে মুসলিম ফুটবলারদের ওমরা পালন ধর্ষণের বিচারে শরয়ি আইন থাকলে, কোন শিশু আর ধর্ষিত হতো না: উলামা-জনতা ঐক্য পরিষদ শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় ঈদে নতুন নোট বিতরণ স্থগিত ধর্ষণ এবং নারীর পরিচয় নিয়ে অবমাননায় ১৫১ আলেমের বিবৃতি ১০ম তারাবির নামাজে তিলাওয়াতের সারমর্ম ত্রাণ বন্ধের পর এবার গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করছে ইসরায়েল তারাবিতে ফাইভ জি স্পিডে তেলাওয়াত করবেন না: আজহারী ‘আলেমদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তোলা জিহাদ নয়, সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

'অন্যান্য বিষয়ের মতো সুন্দরী প্রতিযোগিতাকেও প্রতিবাদের আওতায় আনা দরকার'

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম ।।

মিস ইউনিভার্স, মিস ওয়ার্ল্ডসহ বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর নানা ফরম্যাটে সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। হালজামানায় ওলি-আওলিয়ার বাংলাদেশেও এ সংস্কৃতির ছোয়া লেগেছে। সচেতন মহলের ভাষায় ‘অপ-সংস্কৃতি’।

সম্প্রতি এ প্রতিযোগিতাকে ভিন্নমাত্রায় রূপ দিতে আয়োজন করা হয়েছে বিবাহিতা ও সিঙ্গেল মায়েদের নিয়ে আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতা ‘মিসেস মিলেনিয়াম ইউনিভার্স বাংলাদেশ’। আলেমরা বলছেন ‘মুসলিম মায়েদের পণ্য হিসেবে উপস্থাপনের জন্যই এ ধরণের আয়োজন’।

ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে একটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশে এ ধরণের প্রতিযোগিতা চরম বিপর্যয় ডেকে আনবে বলে মনে করছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের ঢাকা মহানগরীর সভাপতি মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী।

তিনি বলেন, “বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সম্মানের সাথে মাথা উঁচু করে আছে। এমন একটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশে বিবাহিতা ও সিঙ্গেল মা, তালাকপ্রাপ্তা নারীদের নিয়ে সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজন- সত্যিই দুঃখজনক। আমাদের দেশের সামাজিক অবক্ষয়, সামাজিক বিপর্যয় কতটা গভীর, তা এ আয়োজনের মাধ্যমেই বোঝা যায়।”

এ বিষয়টিকেও প্রতিবাদের আওতায় আনা দরকার বলে মনে করেন এ আলেম রাজনীতিবিদ। তিনি বলেন, “কোনো মুসলিম এমন প্রতিযোগিতা সমর্থন করতে পারে না। আমরা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কখনোই এমন কোনো প্রতিযোগিতা সমর্থন করি না। আমাদের দেশের সামাজিক অবক্ষয় রোধে অন্যান্য বিষয়গুলোকে যেভাবে প্রতিবাদের আওতায় আনা হয়, এ বিষয়টিকেও প্রতিবাদের আওতায় আনা দরকার।  বলে মনে করি আমি।”

“সিঙ্গেল মাদার বা কুমারি মা সংস্কৃতির জন্যই কি এ আয়োজন কিনা বিষয়টা গভীরভাবে ভেবে দেখতে হবে। সমাজকে সচেতন করতে হবে। যদি সিঙ্গেল মা বলতে বাবা ছাড়া ছেলের মাকে বুঝায় তাহলে এ অবৈধ সন্তানের জন্মদানকারীনীকে সমাজ প্রতিযোগিতা করাচ্ছে এটা খুবই জঘণ্যতম একটি বিষয়। আমাদের তো মনে হয়, এ প্রতিযোগিতা সামাজিক অবক্ষয় ও বেহাপনার প্রতি উৎসাহ দিতেই আয়োজন করছে।” যোগ করেন মাওলানা আফেন্দী।

এ প্রতিযোগিতার আয়োজনকারীদের প্রতি নিন্দা জানিয়ে মাওলানা  মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী আরও বলেন, যারা এটা আয়োজন করেছেন, তারা বেহায়াপনার চরম পর্যায় পৌঁছে গেছেন। আমি মনে করি, এ প্রতিযোগিতা মুসলিম সমাজে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে। সময় থাকতেই এ বেহায়াপনা প্রতিহত করতে হবে।

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ