মসজিদ মুসলমানদের ইবাদতের প্রধান কেন্দ্রস্থল। পাকিস্তান মুসলিম অধ্যুষ্যিত দেশ হওয়ায় এখানে রয়েছে অসংখ্য মসজিদ। আজকের আয়োজন সৌন্দর্য এবং নান্দনিক স্থাপত্যশৈলীতে শ্রেষ্ঠ পাকিস্তানের সেরা পাঁচটি মসজিদ। লিখেছেন বেলায়েত হুসাইন।
১.ফয়সাল মসজিদ, ইসলামাবাদ
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে ১৯৮৬ সালে নির্মাণ করা হয় ফয়সাল মসজিদ। দক্ষিণ এশিয়ায় সুন্নি মুসলিমদের সবচেয়ে বড় মসজিদ এটি।
সৌদি আরবের বাদশাহ ফয়সালের নামে এই মসজিদটি তৈরি করা হয়। মসজিদটিতে কোনো গম্বুজ নেই, তবে চারটি বিশাল মিনার আছে, যেগুলো একেকটি ৩০০ ফুট লম্বা। বিশাল এই মসজিদটিতে একসঙ্গে ৩ লাখ মানুষ নামাজ পড়তে পারেন।
২.বাদশাহি মসজিদ
লাহোরের রাজকীয় মসজিদ বাদশাহি মসজিদ (Badshahi Mosque)। ৬ষ্ঠ মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব ১৬৭১ সালে মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। নির্মাণকাজ শেষ হয় ১৬৭৩ সালে। পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহৎ এবং দক্ষিণ এশিয়ার ৫ম বৃহৎ মসজিদ এটি। মুঘল আমলের নানা নিদর্শন এই মসজিদ নির্মাণকাজের মধ্যে পাওয়া যায়।
৩.শাহজাহান মসজিদ
শাহজাহান মসজিদ পাকিস্তানের একটি বিখ্যাত মসজিদ। এটি মধ্যযুগের একটি অনন্য স্থাপত্যিক নিদর্শন। মোগল সম্রাট শাহজাহানের আমলে ১৬৪৭ খ্রিষ্টাব্দে মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। সুন্দর এ মসজিদ লাল ইট ও নীল টালিতে তৈরি। মসজিদের আয়তন প্রায় ৫১ হাজার ৮৫০ বর্গফুট।
কারো কারো মতে, গম্বুজের সংখ্যার দিক দিয়ে শাহজাহান মসজিদ বিশ্বের সবচেয়ে বড় মসজিদ। এতে রয়েছে প্রায় ১০০টি গম্বুজ। করাচি থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে থাট্টা শহরে এ মসজিদের অবস্থান মসজিদটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যে স্খান পেয়েছে।
৪.তুবা মসজিদ
তুবা মসজিদ পাকিস্তানের প্রসিদ্ধ শহর লাহরের গৌরঙ্গি সড়কে অবস্থিত। নান্দনিক এই স্থাপনাটি ১৯৬৯ নির্মাণ করা হয়েছে।
তুবা মসজিদের অন্যতম বৈশিষ্ট হল,কোন খুটি ছাড়াই মসজিদের মূল ভবনটি চার পাশের দেয়ালের উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে।এছাড়া,৭০ মিটার লম্বা সুদৃশ্য মিনারাও মসজিদের সৌন্দর্য অনেকখানি বাড়িয়ে দিয়েছে। এর নির্মাণকাজে ব্যবহৃত হয়েছে ধবধবে সাদা মরমর পাথর।
৫. ওজির খান মসজিদ
এটি লাহোরের অন্যতম সুন্দর একটি মসজিদ। দিল্লি গেটের সামান্য দূরেই এর অবস্থান । নবাব ওজির খানের নামে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়।
মসজিদের দেয়াল আরবি ও ফারসি ক্যালিগ্রাফি দিয়ে সাজানো । মনকাড়া এসব ক্যারিগ্রাফির জন্যই ওজির খান মসজিদ অধিক প্রসিদ্ধ। সূত্র: ডেইলি জং
-এটি