শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
সিলেটে অনুষ্ঠিত বিহানের ‘লেখালেখি ও এডিটিং কর্মশালা’ দেশে ফিরে কর্মফল ভোগ করুন, শেখ হাসিনাকে জামায়াতের আমির রাষ্ট্র সংস্কারে ইসলামবিরোধী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না: জাতীয় পরামর্শ সভা যাত্রাবাড়ীতে জাতীয় পরামর্শ সভায় গৃহীত হলো ৭ প্রস্তাব বারিধারায় হেফাজতে ইসলামের পরামর্শ সভা শুরু ফ্যাসিবাদী সরকারের মূল দায়িত্বের কর্মকর্তারা এখনও অটল রয়ে গেছে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করেছি: ডিসি ওয়ারী খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি পরিদর্শনে যাচ্ছেন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল আল্লামা মাহমুদুল হাসানের আহ্বানে সর্বস্তরের আলেমদের নিয়ে পরামর্শ সভা শুরু মসজিদে শোরগোল নিয়ে রাসূল সা. যেভাবে সতর্ক করেছিলেন

পরিবারে 'দীনি সম্পর্ক' সুন্দর রাখার উপায়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাওলানা উমর পালনপুরী ।।

আমরা বলি, প্রতিটি ঘরেই তালিমের ব্যবস্থা করতে হবে। যেন নারী এবং শিশুরা দীনি মেজাজে গড়ে ওঠতে পারে। অনেক নারী এমন আছে যারা কাজেকর্মে পুরুষদের চাইতেও অগ্রসর। অনেক নারীর অন্তরে পুরুষদের চাইতেও দীনের দরদ থাকে বেশি।

অনেক পুরুষ তো নারীর দীনদারীর চাপে দীনদারে রূপান্তরিত হয়। অনেক সময় দেখা যায়, স্বামীর চাইতে স্ত্রীর মধ্যে বিসর্জনের মানসিকতা প্রবল। এজন্যে যারা দাওয়াতের কাজ করবে তাদের সকলেরই উচিত নিজেদের চিন্তা করা, পরিবারের চিন্তা করা, নিজ মহল্লার চিন্তা করা, খান্দানের চিন্তা করা এবং পুরা জাতির চিন্তা করা।

চিন্তা করা বিশ্ব মানবতার। পরিবারের লোকদের সবচাইতে বেশি গুরুত্বের সাথে যে কাজে অভ্যস্ত করে গড়ে তুলতে হবে তা হলো নামাজ।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, তুমি তোমার পরিবারের লোকদের নামাজের আদেশ করো এবং নিজেও নামাজ পড়।

সুতরাং আমাদের সবারই কর্তব্য আমরা যেন এখন থেকেই এই সিদ্ধান্ত করে নিই, আজ থেকে আমরা সকলেই নিয়মিত নামাজ আদায় করবো এবং পরিবারের সবাইকে নামাজি করে গড়ে তুলতে চেষ্টা করব। তবে ঝগড়া-ঝাটির মাধ্যমে নয় বরং আন্তরিকতা, দরদ ও ভালোবাসার মাধ্যমে।

যদি পরিবারের কেউ কোন বিষয়ে বেঁকে বসে মন্দ পথে পা বাড়ায়। তাহলে তার সাথে ঝগড়া বাঁধাবে না। বরং তার সাথে দরদ ও ভালোবাসার সাথে সংশোধনের চেষ্টা করবে।

দেখা যায়, পদ্ধতি জানা না থাকার কারণে অনেকে ঝগড়া বাঁধিয়ে  দেয়। ফলে এক হক আদায় করতে গিয়ে পরের হক ধ্বংস হয়। এর অর্থ এই নয়, কেউ যদি কোন অন্যায় কাজ করতে থাকে তাহলে তাকে তা করতে দেয়া। বরং কেউ যদি কোন অন্যায় কাজ করতে থাকে আর তাকে সংশোধনের সামর্থ থাকে সত্ত্বেও যদি সংশোধন করা না হয়, তার পথে বাধা দেয়া না হয় তাহলে তার পরিণতি হবে খুবই মন্দ।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমরা নিজেদের সেই ফিতনা থেকে রক্ষা করো, যা কেবল তোমাদের মধ্যে যারা অপরাধী শুধু তাদেরই স্পর্শ করে না। আর জেনে রাখ, নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা কঠোর শাস্তিদাতা।

সুতরাং দীনের ব্যাপারে আপোসকামিতা এবং যুক্তিহীন মিঠা স্বভাব আদৌ কাম্য নয়। চোখের সামনে পাপ হতে থাকলো আর সামর্থ থাকা সত্ত্বেও এই ভেবে বাধা দিল না, যে মানুষের সাথে আমার সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে। তাহলে তুমি নিজেকেও সেই পাপের অভিশাপ থেকে বাঁচাতে পারবে না। তাই কোথায়ও মন্দ কাজ হতে দেখলে সামর্থ থকলে অবশ্যই বাধা দিবে।

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন, আর তোমরা পাপ ও অবাধ্যতামূলক কাজকর্মে একে অপরকে সাহায্য করবে না।

(তাবলীগের দাঈ মাওলানা উমর পালনপুরী রহ. এর তাবলীগ আমার জীবন বই থেকে)

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ