শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :

অস্ট্রিয়ায় বিখ্যাত ভিয়েনা ইসলামিক সেন্টার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আব্দুল্লাহ আফফান: ভিয়েনার কোল ঘেষে বয়ে গেছে বিখ্যাত দানিউব নদী। এর পাড়েই বিখ্যাত ভিয়েনা ইসলামিক সেন্টার ও মসজিদের অবস্থান। একটি মিনার ও সবুজ রঙের এক গম্বুজের মসজিদটি দেখতে বেশ সুন্দর। বিশাল গম্বুজের নিচে মূল নামাজের স্থান।

মসজিদের সামনে রয়েছে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা, পাশে ওজুর ব্যবস্থা। পেছন দিকে শিশুদের খেলাধুলার স্থান। রয়েছে নারীদের জন্য প্রবেশের আলাদা পথ। পুরো মেঝেতে কার্পেট পাতা, সাজানো-গোছানো সুন্দর ছিমছাম পরিবেশ। বারান্দায় আলমারিতে বিভিন্ন ইসলামিক বইপত্র সাজানো আছে। বাঁ-পাশে আলাদা কক্ষ।

১৯৬৯ সালে ভিয়েনার মুসলিমরা ৮৩০০ বর্গমিটারের একটি জমি ক্রয় করে। সেখানে একটি মসজিদ নির্মাণ করা ইচ্ছা ছিলো তাদের। কিন্তু অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে তারা নির্মাণকাজ শুরু করতে পারছিলো না। পরবর্তিতে সৌদি বাদশাহ ফয়সাল বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ ১৯৭৫ সালে মসজিদ নির্মাণের জন্য অনুদান প্রদান করেন।

Islamisches Zentrum Wien - Großer Gebetsraum der Moschee.jpg

নির্মাণের জন্য রিচার্ড লুগনার কে নির্বাচিত করা হয়। তিনি ১৯৭৭ সালের ১ জুলাই নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ১৯৭৯ সালের ২০ নভেম্বর কাজ শেষ হয়। অস্ট্রিয়ার তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মসজিদের শুভ উদ্ভোধন ঘোষণা করেন।

Wien DSC 7593 (2548455100).jpg

ভিয়েনা ইসলামী কেন্দ্রের মিনার ৩২ মিটার (১০৫ ফুট) উঁচু। এর গম্বুজ ১৬ মিটার (৫২ ফুট) উঁচু এবং এর ব্যাস ২০ মিটার (৬৬ ফুট)। এ কেন্দ্রটি মসজিদ ছাড়াও ইসলামি শিক্ষা ও ইসলামিক সংস্কৃতি বিকাশে সহায়তা প্রদান করে থাকে।

Bruckhaufen (Wien) - Moschee, Hauptportal.JPG

ভিয়েনায় এই ইসলামি কেন্দ্র ও মসজিদ ছাড়া আরও ১২৫টির মতো মসজিদ রয়েছে। এ ছাড়া রাজধানী ভিয়েনার বাইরে গ্রাস, সালসবব্রুর্গ, লিনস ও ক্লাগেনফুট শহরেও বেশ কয়েকটি মসজিদ আছে। সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশি মুসলমানদের পরিচালিত পাঁচটি মসজিদ রয়েছে। যেগুলোতে নিয়মিত নামাজ আদায়ের পাশাপাশি কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। সূত্র: উইকিপিডিয়া

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ