শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা ইসলামি লেখক ফোরামের বৈঠক অনুষ্ঠিত, আসছে নতুন কর্মসূচি সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কারাগারে

বিসমিল্লাহর পরিবর্তে ৭৮৬ লেখা কি বৈধ?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: মুসলিমদের মধ্যে একটি মারাত্মক বিদ’আত ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম এর পরিবর্তে ৭৮৬ লিখতে আরম্ভ করেছেন। বাস, ট্রাক, রিক্সা, দোকান যত্রতত্র ৭৮৬ লিখা স্টিকার শোভা পাচ্ছে।

এমনকি মসজিদ, মাদরাসার দেওয়ালেও নক্সা করে ৭৮৬ লেখা হচ্ছে। আর পত্রের শুরুতে ৭৮৬ লেখা তো একটি অতি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ “কেউ যদি দ্বীনের মধ্যে কোন নতুন প্রথার প্রচলন ঘটায় আর সেটা তার মধ্যে না থাকে তাহলে তা পরিত্যাজ্য হবে”। মুত্তাফাক্ব আলাইহি, মিশকাত, হাদিস নং ১৪০।

“আবজাদ” পদ্ধতির সূত্র মতে বিসমিল্লাহর পরিবর্তে ৭৮৬ লেখার যে প্রচলন হয় তা কোন শারঈ পদ্ধতি তো নয়ই এমনকি মুসলিমরা এই পদ্ধতির প্রবর্তকও নয়। পদ্ধতিটির আবিষ্কারক হল গ্রীসের প্রখ্যাত দার্শনিক পীথাগোরাস (Pythagoras)। সে ইহুদী ছিল এবং মুসলিমদের প্রকাশ্য শত্রু।

সূত্রটির ব্যবহার প্রধানত সম্রাটের এবং সরকারী কর্মচারীদের তোষামোদীর জন্য ব্যবহৃত হত। যেমনঃ তাদের সিংহাসন আরোহণের তারিখ অমুক পূণ্য বাক্যের কোডের সঙ্গে, জন্মগ্রহণের তারিখ অমুক পূণ্য বাক্যের কোডের সঙ্গে, মৃত্যু তারিখ অমুক কোডের সঙ্গে ইত্যাদি।

পীথাগোরাস প্রবর্তিত এই “আবজাদ” পদ্ধতিকে নাম সর্বস্ব মুসলিম বিদ’আতি আলেমরা গ্রহণ করে নিয়েছেন। এই সূত্র মতেই তাবিজ, তখতি ও দোকান ঘরের জন্য বিভিন্ন সংখ্যাতাত্ত্বিক বোর্ডেরও উদ্ভাবন করে তারা।

ইহুদী পীথাগোরাসের আবিষ্কৃত এই পদ্ধতিকে গ্রহণকারীরা সুস্পষ্টরূপে ইসলামের বিরুদ্ধাচরণ করে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “তোমরা মুশরিকদের বিরুদ্ধাচরণ কর”। (মুত্তাফাক্ব আলাইহি, মিশকাত, হাদিন নং ৪৪২১) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেন “কেউ যদি কোন জাতির সাদৃশ্য গ্রহণ করে তাহলে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে”। (আবু দাউদ, সনদ হাসান, মিশকাত, হাদিস নং ৪৩৪৭)।

তাছাড়া দ্বীনের ব্যাপারে সকল প্রকার বিদ’আতই হারাম ও গোমরাহী। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন “তোমরা (দ্বীনের) নব প্রচলিত বিষয়সমূহ থেকে সতর্ক থাক। কেননা প্রত্যেক নতুন বিষয় বিদ’আত এবং প্রত্যেক বিদ’আত ভ্রষ্টতা। [সুনান আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৯৯১ । সুনান আত তিরমিযী, হাদীস নং ২৬৭৬)


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ