শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ভারতের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ জয়পুরহাটে ১৫৫ মণ সরকারি চাল সহ আটক দুই তাপপ্রবাহ নিয়ে নতুন সংবাদ দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর রাঙামাটিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর

তুরস্ক ও পাকিস্তানের যৌথ উদ্যোগে 'খিলাফত আন্দোলন' নিয়ে চলচ্চিত্র

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ১৯২০ সালে ব্রিটিশ শাসিত ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানদের খিলাফত রক্ষার জন্য আন্দোলনকে নিয়ে তুরস্ক ও পাকিস্তানের যৌথ উদ্যোগে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হবে।

‘বিয়ার উইটনেস’ বা তুর্কিতে ‘শাহিত অল’ নামের এই চলচ্চিত্রে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী তুরস্কের ওসমানীয় খিলাফতকে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির হাত থেকে রক্ষার জন্য ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানদের ঐতিহাসিক খিলাফত আন্দোলন ও এই সময়ের উভয় অঞ্চলের মানুষের অবস্থাকে চিত্রিত করা হয়েছে। তুরস্ক ও পাকিস্তানের অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা এই চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করবেন।

চলচ্চিত্রটির কাহিনীকার ও পরিচালক তাহির মাহমুদ ১৪ই সেপ্টেম্বর, শনিবার করাচিতে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, আগামী অক্টোবর থেকে চলচ্চিত্রটির শুটিং শুরু হবে এবং আগামী বছর মার্চে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাবে।

তাহির মাহমুদ বলেন, “চলচ্চিত্রটি পাকিস্তান আন্দোলনের নাম না জানা বীর, গাজী মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক এবং সাহসী তুর্কি জাতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তৈরি করা হচ্ছে।”

মূল চলচ্চিত্রটির সংলাপ উর্দুতে তৈরি করা হয়েছে। পরবর্তীতে তা তুর্কিতে ডাবিং করা হবে।

তাহির মাহমুদ বলেন, “এই চলচ্চিত্রটি পাকিস্তান ও তুরস্কের মানুষের মধ্যে এক শক্তিশালী বন্ধন তৈরির উৎস হিসেবে কাজ করবে। এর মাধ্যমে তুর্কি দর্শকরা জানতে পারবে আমাদের পূর্বপুরুষরা তাদের তুর্কি ভাই-বোনদের সাহায্যের জন্য কি প্রচেষ্টা নিয়েছিল।”

মাহমুদ আশা করেন, এই চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়েই তুরস্কে পাকিস্তানি চলচ্চিত্র ও নাটকের স্থান অর্জনের পথ তৈরি হতে পারে।

চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করা পাকিস্তানী অভিনেতা কাভি খান জানান, পাকিস্তান ও তুরস্কের মধ্যকার বন্ধন অন্য যেকোন জাতির তুলনায় শক্তিশালী।

তিনি বলেন, “এই প্রকল্প আমাদের তরুণ প্রজন্মকে সেই বন্ধন সম্পর্কে জানাবে। আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি, চলচ্চিত্রপ্রেমীদের প্রত্যাশার চেয়েও এটি জনপ্রিয় হবে।”

চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করা তুর্কি অভিনেতা মের্ত সিসমানলার বলেন, “পাকিস্তান ও তুরস্কের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধনকে চিত্রিত করা এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে পেরে আমি উদ্দীপ্ত।”

চলচ্চিত্রটির অন্যান্য চিত্রাভিনেতাদের মধ্যে ইমদাদ ইরফানি, ঘানা আলী, রাবিয়া কুলসুম সহ আরো অনেক তুর্কি ও পাকিস্তানি অভিনেতা-অভিনেত্রীরা রয়েছেন।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ