মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫ ।। ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ১১ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :

স্মার্টফোন আসক্তি কমানোর উপায়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রিয়াদ আরিফিন: স্মার্টফোন আসক্তি, বিজ্ঞানীরা যাকে বলছেন ‘নোমোফোবিয়া’ সমস্যাটিতে অনেকেই আক্রান্ত।

আগের পর্বে এই আসক্তির কারণ, প্রযুক্তি নির্মাতাদের ব্যবসায়িক স্বার্থ ও ফলাফল দেখানো হয়েছিল। সঙ্গে ছিল আসক্তির সাম্প্রতিক কিছু পরিসংখ্যান।

অনেকেই স্মার্টফোন ও সোশ্যাল মিডিয়া আসক্তির দুষ্টু চক্র থেকে পরিত্রাণ পেতে চান। তাদের জন্য কিছু টিপস থাকছে টেকশহরডটকমের পক্ষ থেকে।

আত্ম-উপলব্ধি ও ইচ্ছাশক্তি

স্মার্টফোন ও সোশ্যাল মিডিয়ার উপর মাত্রাতিরিক্ত আসক্তি কাটাতে সবার আগে প্রয়োজন আত্ম-উপলব্ধি ও ইচ্ছাশক্তি। নিজে থেকেই এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে ধারণা গ্রহণ করতে হবে এবং এটি থেকে বেরিয়ে আসার ইচ্ছা পোষণ করতে হবে।

শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় কাজে স্মার্টফোন ব্যবহার করা 

স্মার্টফোনের হরেক রকম ব্যবহার রয়েছে। কিন্তু পেশাগত কিংবা ব্যক্তিগত কাজে স্মার্টফোন যতটুকু প্রয়োজনীয় ততটুকুই ব্যবহার করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় ও সময় নষ্ট করে এমন অ্যাপ ব্যবহার হতে বিরত থাকতে হবে। চাইলে কথা বলার প্রয়োজনে স্মার্টফোনের পরিবর্তে ফিচার ফোন ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ কাজের সময় স্মার্টফোন দূরে রাখা

পড়াশোনা কিংবা অন্য কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার সময় স্মার্টফোন সাইলেন্ট মোডে রেখে কাজের স্থান থেকে কিছুটা দূরে রেখে দিতে হবে। এতে করে কাজের প্রতি মনোযোগ বেশি দৃঢ় হবে।

সোশ্যাল অ্যাপের ব্যবহার কমানো 

স্মার্টফোন ব্যবহারের অধিকাংশ সময়ই আমরা নানান ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ ব্যবহার করে কাটিয়ে দেই। তাই আসক্তি দূর করতে এই ধরনের অ্যাপ ফোন থেকে সরিয়ে ফেলা যেতে পারে। অ্যাপের পরিবর্তে ব্রাউজার দিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ার প্রয়োজনীয় কাজ সেরে ফেলা যায়।  এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলোর নোটিফিকেশন বন্ধ করে রেখেও কিছুটা নিস্তার পাওয়া যাবে।

বিছানায় স্মার্টফোন নয়

সাম্প্রতিককালে ঘুম কম হওয়া বা অনিদ্রার অন্যতম একটি কারণ হলো স্মার্টফোন আসক্তি। তাই চেষ্টা করতে হবে বিছানায় শুতে যাওয়ার সময় স্মার্টফোন সঙ্গে না রাখার।

আবার অনেকে সকালে ঘুম থেকে উঠার অ্যালার্ম স্মার্টফোনে সেট করেন। এক গবেষণায় উঠে এসেছে, ৮৫ শতাংশ ব্যবহারকারী ঘুম থেকে উঠে অ্যালার্ম বন্ধ করে ফোনের নোটিফিকেশন চেক করা শুরু করে দেন। এতে অনেক সময় কেটে যায়। এমন সমস্যা এড়াতে অ্যালার্ম ঘড়ি ব্যবহার করা যেতে পারে।

আড্ডায় স্মার্টফোন পরিহার

অনেকেই পারিবারিক কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডার মাঝেও স্মার্টফোনে ব্যস্ত থাকেন। এর ফলে পারিবারিক বন্ধন হালকা হয়ে যায়। তাই এসব পরিস্থিতিতে স্মার্টফোন এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।

অন্য কাজে ব্যস্ত থাকা

স্মার্টফোন আসক্তি কাটাতে বই পড়া, পরিবারকে সময় দেয়া, খেলাধুলা করা কিংবা নিজের পছন্দ অনুযায়ী অন্য যেকোন কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখা যেতে পারে।

সূত্র: টেকশহর

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ