শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
রাঙামাটিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প

যে গ্রামের বাসিন্দারা সবাই কোটিপতি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: যে গ্রামের মানুষ একসময় খুব গরিব ছিল, সাধারণ কৃষিকাজ ছিল যাদের পেশা; সেই তারাই এখন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী। তাদের গ্রামটি সারা বিশ্বে এখন কোটিপতিদের গ্রাম হিসেবে স্বীকৃত-পরিচিত গণমাধ্যমের কল্যাণে।

এই গ্রামের বাসিন্দাদের প্রত্যেকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আছে ২৫ লাখ ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ২১ কোটি ২৪ লাখ টাকা প্রায়। চীনের এই গ্রামটির নাম হুয়াক্সি। এটিকে কমিউনিস্ট ইউটোপিয়া বা ‘সাম্যবাদের কল্পরাজ্য’ বলা হচ্ছে।

বিজনেস ইনসাইডারের প্রতিবেদনে বলা হয়, হুয়াক্সির সবাই ধনী হলেও সেখানকার বাসিন্দাদের মেনে চলতে হয় কঠোর নিয়মকানুন। গণমাধ্যমের সামনে কারও কথা বলার অনুমতি নেই। একসময়ের খুব সাধারণ কৃষকসমাজ ইস্পাত ও জাহাজের বাজারে বহু কোটি টাকার সম্পদের রাজ্যে রূপান্তরিত হয়েছে।

এখানে দুই হাজার নিবন্ধিত অধিবাসী বাস করেন। তাঁদের স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সবকিছু বিনামূল্যেই দেওয়া হয়। এখানকার প্রত্যেকেই সাত দিনই কাজ করেন। তাঁদের ছুটি বলে কিছু নেই। গ্রামটি প্রতিষ্ঠা করেন হুয়াক্সি ভিলেজ কমিউনিস্ট পার্টি কমিটির সাবেক সেক্রেটারি উ রেনবাও। জিয়াংশু প্রদেশে অবস্থিত হুয়াক্সি গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে পরিবারের সদস্যসংখ্যা অনুযায়ী কম করেও দুটি গাড়ি রয়েছে।

শুধু তা-ই নয়, ২ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলারের ব্যাংক-ব্যালেন্স রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে বিনা মূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা ও শিক্ষা। ২০১১ সালে গ্রামটির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ৩২৮ মিটার উঁচু বড় ভবন তৈরি করা হয়। গ্রামের সব বাসিন্দা একসঙ্গে সমবেত হওয়া ও খাওয়ার জন্য বিশাল জায়গা রয়েছে।

গ্রামে জুয়া খেলা ও মাদকসেবন পুরোপুরি নিষিদ্ধ। গ্রামটির বড় আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে—গ্রাম ছাড়লেই সব শেষ! কেউ সঙ্গে কিছু নিতে পারবে না। গ্রামের সম্পদ গ্রামেই থাকবে।

সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার

আরএম/

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ