শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

'আয়াতুল কুরসির ফজিলত পেয়ে ইসলাম গ্রহণ করেছি'

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুর রহমান। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বাসিন্দা। আয়াতুল কুরসির ফজিলত পেয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আসার পর ‘সত্য পথের দিশা’ নামে একটি বইও লিখেছেন তিনি।  আবদুর রহমান নিজের মুখেই তার ইসলাম গ্রহণের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। আওয়ার ইসলামের পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো। শ্রুতিলিখন করেছেন আব্দুল্লাহ তামিম। 


আল্লাহর দরবারে লাখো কোটি শুকরিয়া! তিনি আমাকে জাহান্নাম থেকে বাঁচিয়েছেন। আমি সত্য ধর্ম ইসলাম গ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছি। আমি মারাত্মক গোমরাহির পথ থেকে ইসলাম গ্রহণ করেছি। আমার পূর্বের নাম ছিলো রনজিৎ কুমার ঘোষ। বাবার নাম দুলাল চন্দ্র ঘোষ। আমার বাড়ী নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার লালপুর।

বাবা অনেক বড় পূজারি। তিনি মন্দির নির্মাণ করেছে। আমি ছোটবেলা থেকেই ধর্মভীরু ছিলাম। ধর্মের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ভক্তি ভালোবাসা ছিলো।

আমি মুসলিমদের দেখতে পারতাম না। ছোটবেলা থেকেই আমি শারীরিক দুর্বল ছিলাম। আমি প্রতিদিন পূজা দিতাম। তারপরও আমার শারীরিক দুর্বলতা কাটেনি। আমি বহু জপ করেছি। মানে জিকির করেছি। আমি গীতা পাঠ করতাম যেনো আমার রোগ ভালো হয়। আমি ভগবানের কাছে মিনতি করতাম, হে ভগবান আমার রোগ ভালো করে দাও!

কিন্তু তাতেও কিছু হলো না। আমি একটা কোচিং স্টোর খুলেছিলাম তাতে আমার কয়েকজন মুসলিম বন্ধু ছিলো। আমি তাদেরকে আমার সমস্যার কথা খুলে বললাম। আমি বললাম, তোমাদের ধর্মের একটা বই আমাকে দাও।

তারা আমাকে মকসুদুল মুুমিনিন দিল। আমি ঐটাতে পাইলাম আয়াতুল কুরসি পড়লে সে রোগটি ভালো হয়ে যাবে। আমি সে রাতে আয়াতুল কুরসির বাংলা উচ্চারণ দেখে পাঠ করে ঘুমাই। আলহামদুলিল্লাহ আমি সে রাতেই সুস্থ হয়ে যাই।

গীতা জপ কত কিছু করলাম কোনো কাজ হলো না। শেষে এ আয়াতুল কুরসির উসিলায় আল্লাহ আমাকে সুস্থ করে দিলো। আমি হিন্দু ধর্ম ছেড়ে ইসলাম ধর্ম  গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিলাম। কারণ আমি এত বেশি পরিমাণ ইবাদত করেছি হিন্দু ধর্মে। এটা যদি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর করতাম আমি বড় আল্লাহ ওয়ালা হয়ে যেতাম।

পরে শয়তান আমাকে ধোক দিতে থাকলো। আমি নির্জনে রাতের বেলায় বলতাম হে এ পৃথিবীর মালিক, যে ধর্ম সত্যি আমাকে তার দিকে পথ দেখাও! এভাবে দশ দিন কান্নাকাটির পর আমি কিছুই দেখিনি। এগারোতম রাতে অনেক কান্নাকাটি করি, ঐ রাতেও আমি কিছুই দেখলাম না।

পরদিন সকালে কোচিংয়ে ছাত্র-ছাত্রী পড়ালাম। তখন সেখানে একজন মুসলিম আসলো। অনেক ভালো একজন লোক ছিলো তিনি। তার দিকে এক সময় হঠাৎ তাকিয়ে দেখি তার কপালে হাতে শরীরে আল্লাহ লেখা ওঠলো। আমি এসব দেখে অবাক হয়ে গিয়েছি!

আমি বিশ্বাস করলাম ইসলামই শ্রেষ্ঠ ধর্ম, সত্যি ধর্ম। আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলাম। আল্লাহ তায়ালা আমাকে এ হেদায়াতের আলোতে আসার তাওফিক দিলেন।

আব্দুর রহমান বলেন, আমি হিন্দু ভাইদের প্রতি ইসলামের দাওয়াত নিয়ে একটি বই লিখেছি। এটার নাম দিয়েছি ‘সত্য পথের দিশা’। হিন্দুদের নানান প্রশ্নের জবাব এতে দেয়া আছে। বইটি পেতে সরাসরি তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। মোবাইল: ০১৯৪৭৩৮২৩০১।

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ