শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

যে পাঁচ সময়ের আল্লাহ তায়ালা দোয়া কবুল করেন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আব্দুল্লাহ আফফান♦

দোয়া মানে প্রার্থনা করা, আল্লাহ তায়ালার কাছে চাওয়া। বান্দার উচিত বিপদ-আপদ থেকে আল্লাহ তায়ালা কাছে আশ্রয় চাওয়া। বেশি বেশি দোয়া করা। দোয়া সম্পর্কে হযরত মুহাম্মদ স. বলেছেন, দোয়া ইবাদতের সারাংশ বা মূল।

আল্লাহ তায়ালা কুরআন বলেছেন, তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। যারা আমার ইবাদতে অহংকার করে তারা সত্বরই জাহান্নামে দাখিল হবে এবং লাঞ্চিত হবে। সূরা আল-মু'মিন, আয়াত ৬০।

আল্লাহ তায়ালার শান হচ্ছে- বান্দা তার কাছে চাইলে বা দোয়া করলে খুশি, আর না চাইলে তিনি বেজার হন।

বিভিন্ন হাদিসে এমন কিছু সময়ের কথা আলোচনা করা হয়েছে, যখন মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া কবুল হয়।

১. রাতের শেষ তৃতীয়াংশের দোয়া। হাদিসে এসেছে, হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূল সা. বলেছেন, প্রত্যেক রাতের শেষ তৃতীয়াংশে মহান আল্লাহ সবচেয়ে কাছের আকাশে নেমে আসেন এবং বলেন, কে আমাকে ডাকছো? আমি তোমার ডাকে সাড়া দেব। কে আমার কাছে চাইছো? আমি তাকে তা দেব। কে আছো আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনাকারী’ আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেব। (মুসলিম)

২. জুমার দিনের দোয়া। হাদিসে এসেছে হজরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসূল সা. আমাদের একদিন শুক্রবারে ফজিলত নিয়ে আলোচনা করছিলেন। তিনি বলেছিলেন, জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে, যে সময়টায় যদি কোনো মুসলিম নামাজ আদায়রত অবস্থায় পায় এবং আল্লাহর কাছে কিছু চায়, আল্লাহ মহান অবশ্যই তার সে চাহিদা বা দোয়া কবুল করবেন এবং এরপর রাসূল সা. তার হাত দিয়ে ইশারা করে সময়টা সংক্ষিপ্ততার ইঙ্গিত দেন। (বুখারি)

৩. আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়। হজরত আনাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেছেন, আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ের দোয়া করা হলে তা ফিরিয়ে দেয়া হয় না। (তিরমিজি)

৪. সেজদারত অবস্থার দোয়া। রাসূল সা. বলেন, যে সময়টাতে বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে নিকটতম অবস্থায় থাকে তা হলো সেজদারত অবস্থা। সুতরাং তোমরা সে সময় আল্লাহর কাছে বেশি বেশি চাও বা প্রার্থনা করো। (মুসলিম)

৫. জমজমের পানি পান করার সময়ের দোয়া। রাসূল সা. বলেন, জমজম পানি যে নিয়তে পান করা হবে, তা কবুল হবে। অর্থাৎ এই পানি পান করার সময় যে দোয়া করা হবে, ইনশাআল্লাহ তা অবশ্যই কবুল হবে। (ইবনে মাজাহ)

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ