শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

জীবনে চলার পথে ড. আয়েজ আল কারনীর মহামূল্যবান চার কথা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আব্দুল্লাহ আফফান ♦

ড. আয়েজ আল কারনী ১৯৫৯ ইং সালে দক্ষিণ সৌদী আরবের করন জেলার আশ-শুরাইহ নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। অল্প বয়সেই তিনি পবিত্র কুরআনের হিফজ সম্পন্ন করেন।

মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন রিয়াদে। উচ্চতর পড়াশুনা করেন প্রাদেশিক শহর আবহায়। একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি তার ব্যক্তিগত অধ্যায়নের পরিধি সুবিস্তৃত ও অতুলনীয়।

ড. আয়েজ আল কারনী মুসলমানদের চারিত্রিক অধঃপতন রোধে অনবরত লিখে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন। সেগুলোর মধ্যে লা তাহযান, আসআদ আম্রাআতিন ফিল আলাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এ বই দুটি বিভিন্ন ভাষায় অনুদৃত হয়েছে।

ড. আয়েজ আল কারনী বিশ্ববরেণ্য ও পাঠকনন্দিত একজন তারকা লেখক। লেখায় ও বলায় তিনি সমান পারদর্শী। কিন্তু লেখায় তিনি যে বৈভিক বৈচিত্রের অবতারণা করেছেন তা পাঠককে আপ্লুত করে। মুগ্ধ করে। তার লেখায় প্রচুর কুরআনের আয়াত, রাসুল সা. এর হাদিস, বুর্যুদের বানী, বিভিন্ন প্রবাদ, ঐতিহাসিক ও আধুনিক ঘটনা লক্ষ করা যায়।

আওয়ার ইসলামের পাঠকের জন্য আজকের আয়োজন ড. আয়েজ আল কারনীর ৪টি উপদেশ: ১. হতাশ হবেন না, ২. ভীত-সন্ত্রস্ত হবেন না, ৩. রাগ করবেন না, ৪. আল্লাহ তায়ালার কোন ফয়সালায় অসন্তুষ্ট হবেন না।

১. অতীত নিয়ে হতাশ হওয়া যাবে না। অতীতে কি হয়েছে তা মনে করে নিজেকে কষ্ট দেয়া যাবে না।। অতীত শেষ হয়ে গেছে। অতীতকে পিছনে ফেলে দিতে হবে যদি সেটা অসুখকর কোন স্মৃতি হয়।

২. ভবিষ্যতে কি হবে সেটা নিয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত্র হওয়া যাবে না। এটা মুমিনের জন্য সোভা পায় না। ভবিষ্যৎ কে আল্লাহ হাতে ন্যস্ত করতে হবে।

৩. চলমান জীবনে কোন অবস্থাতেই নিয়ন্ত্রণহীন রাগ করা যাবে না। রাসুল সা. এর কাছে একজন উপদেশ চেয়েছিলেন। রাসুল সা. তাকে বলেছেন, তুমি রাগ করো না, রাগ করো না, রাগ করো না। যদি তুমি রাগ না করে থাকতে পার তবে তুমি জান্নাত পাবে।

এ পৃথিবীতে আমাদের যত ক্ষতি হয় তার বড় কারণ নিয়ন্ত্রণহীন রাগ। সে জন্য রাগকে যদি এড়িয়ে চলা যায়। তাহলে বহু ক্ষতি থেকে আমরা বাঁচতে পারব।

৪. আল্লাহ তায়ালা ফায়সালার প্রতি অসন্তুষ্ট হওয়া যাবে না। মনে রাখতে হবে, আমি আমার জন্য যেটাকে ভাল মনে করছি তার থেকে আল্লাহ তায়ালার ফয়সালা প্রজ্ঞাপূর্ণ, বেশি যৌক্তিক ও কল্যাণকর।

এ চারটি বিষয় যদি কেউ মেনে চলতে পারে তাহলে তার দুনিয়ার জীবন সুখের হবে। তার জন্য আখেরাতের সুখ তো আছেই। সে দুনিয়া ও আখেরাতের বহুমুখী কল্যাণ অর্জন করতে পারবে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ