শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা ইসলামি লেখক ফোরামের বৈঠক অনুষ্ঠিত, আসছে নতুন কর্মসূচি সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কারাগারে উত্তপ্ত খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি

বিজ্ঞানীদের কল্পনায় ভবিষ্যতের স্মার্টফোন যেমন হবে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ভবিষ্যতের স্মার্টফোনগুলো ব্যবহারকারীদের জন্য আরো বেশি ফিচার নিয়ে আসবে এবং ডিজাইনেও থাকবে অভিনবত্ব। বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যে এসব বিষয়ে কাজ করছেন আর বিজ্ঞানীদের কল্পনার আলোকে ভবিষ্যতের স্মার্টফোন কেমন হতে পারে তার একটি ধারণা দিয়েছে টেকনলজি নিউজপোর্টাল এন্ড্রয়েড অথরিটি।

মাইন্ড কন্ট্রোল বা মস্তিষ্কের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ: প্রথমের দিকে কীপ্যাড ফোন বাজারে আসলেও বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের টাচস্ক্রিন ফোন রয়েছে।

এসব ফোন হাতের আঙ্গুল কিংবা কণ্ঠস্বরের সাহায্য ব্যবহার করা যায়। এসবের পাশাপাশি ভবিষ্যতের স্মার্টফোনগুলো ব্যবহারকারীর চিন্তাশক্তি দিয়ে পরিচালনা করা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চোখের ইশারায় কিংবা মস্তিষ্কের নির্দেশেই কাজ করা যাবে এসব ফোনের বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনে। এ পদ্ধতিতে টেক্স করা,ছবি তোলাসহ সব কিছুই চাইলেই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, ভবিষ্যতের স্মার্টফোনগুলোর কোনো কোনোটি চশমার মতো দেখাবে। সেটা গুগল প্লাসের মতো করে সাজানো থাকবে। কাউকে কল দিলে বা কেউ কল ধরলে ছবিটা ভেসে উঠবে।

এ প্রযুক্তিতে ছবি তোলা, ভিডিও বা মুভি দেখা, গেম খেলা সবকিছুই হবে মাইন্ড কন্ট্রোল বা মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে। এমনকি বিজ্ঞানী বা কথা সাহিত্যিকরাও শুধুমাত্র চিন্তুা শক্তি ব্যবহার করেই কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন আগামীর মোবাইল ফোন প্রযুক্তির মাধ্যমে, বিজ্ঞানীরা এমনটাই ধারণা করছেন।

তবে বাস্তবতা হচ্ছে, বিজ্ঞানীদের এই কল্পনাগুলো বাস্তবে রূপ নিতে এখনো বহু দেরি।

বাতাস থেকে স্মার্টফোনে চার্জ: বর্তমানের স্মার্টফোনগুলো একবার পুরো চার্জ হলে একদিন বা সর্বোচ্চ দুদিন ব্যবহার করা যায়। আর প্রথমের দিকে চার্জার ছাড়া চার্জ দেওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না। বর্তমানে পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমেও চার্জ দেওয়া যায়। কিন্তু ভবিষ্যতের স্মার্টফোনে তার দিয়ে বা পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে চার্জ দিতে হবে না বলে দারণা করছেন বিজ্ঞানীরা। বাতাসকে কাজে লাগিয়েই চার্জ হবে এসব ফোন। এর জন্য প্রয়োজন হবে একটি এয়ার চার্জ ট্রান্সমিটারের। একটি সেল ফোনের তিন ফুট দূরত্বের মধ্যে থাকলেই সেটি থেকে ফোনটি সরাসরি চার্জ হয়ে যাবে।

ফোন ছোট-বড় করা: প্রযুক্তিগত উন্নতির সাথে সাথে স্মার্টফোন বড় এবং ছোট হতে শুরু করেছে। বহুল পরিচিত স্যামসাং, হুয়াওয়ে, আইফোনসহ নানা রকমের ফোনের পাশাপাশি প্রতিদিনই বিভিন্ন রকমের ফোন বাজারজাত করা করা হচ্ছে।

বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, স্মার্টফোন ভবিষ্যতে প্রয়োজন অনুযায়ী ছোট-বড় করা যাবে, কিংবা এর এক কোণ থেকে আরেক কোণের মেলানো যাবে এবং জোড়া লাগানো যাবে। শার্ট-প্যান্টের আকৃতি অনুযায়ী স্মার্টফোনের আকার পরিবর্তন হওয়াও বিচিত্র নয় বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। আর এর ফলে স্মার্টফোনটির ছয় ইঞ্চির ডিসপ্লে ৯ ইঞ্চিতে রূপান্তরিত হয়ে যাবে।

রং পরিবর্তন: কি ধরনের ফোন কিনবেন বা ফোনের রং কেমন হবে অনেক সময়ে সেটা নির্বাচন করতে গেলে অনেক সময় নানা রকমের দ্বিধায় পড়তে হয়। ভবিষ্যতের স্মার্টফোন ক্রেতাদের সেই চিন্তা থেকে মুক্তি দেবে বলেই বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস।

ভবিষ্যতে গ্রাহকের মনের ইচ্ছে অনুযায়ী পাল্টে যাবে ফোনের রং- এমনটাই ধারণা হরা হচ্ছে। স্মার্টফোনের কন্ট্রোল প্যানেলে গিয়ে রঙের সেটিংস পরিবর্তন করার সাথে সাথেই পুরো ব্যাক কভারটি রং পরিবর্তন করবে।

প্রসঙ্গত, এ ফিচারগুলোর কোনোটিই এখনো প্রচলিত নয়। এদের কোনো কোনোটি নিয়ে এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে গবেষণা চলছে।

তবে আমাদের অভিজ্ঞতা বলে, বিজ্ঞানীদের অনেক কল্পনা, যেগুলো কয়েক বছর আগেও অসম্ভব বলে মনে হতো, সেগুলো এখন রীতিমতো বাজারে সহজলভ্য এবং আমরা দৈনন্দিন জীবনে প্রতিনিয়ত ব্যবহার করছি। কে জানে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই হয়তো এমন স্মার্টফোনও দেখা যাবে মানুষের হাতে হাতে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ