সুফিয়ান ফারাবী
বিশেষ প্রতিবেদক
বরিশালে উঠিয়া বায়তুল আমান মসজিদ ঈদগা কমপ্লেক্স যেন পরিণত হয়েছে পর্যটন কেন্দ্রে। প্রতিদিন সেখানে প্রায় হাজারখানেক দর্শনার্থী ভিড় করেন। স্থানীয়দের আশা- নান্দনিক এ মসজিদটি বিশ্বব্যাপী পরিচিত দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে স্থাপত্যে জায়গা করে নেবে।
বরিশাল নগরী থেকে ২০ কিলোমিটার পশ্চিমে উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নে ১৮ একর জমির উপর বায়তুল আমান মসজিদ কমপ্লেক্সটি প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। তুরস্ক, দুবাই ও কাতারের বিভিন্ন মসজিদের আদলে তৈরি হয়েছে মসজিদটি।
সর্বমোট ২০ টি গম্বুজ রয়েছে মসজিদটিতে। মাঝের গম্বুজে লেখা- আয়াতুল কুরসি। চারপাশের কোনায় চারটি গম্বুজে ক্যালিগ্রাফি দিয়ে লেখা- পবিত্র কোরআনের ঐশী বাণী।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে- মসজিদটির ভেতরে একসঙ্গে ১৪০০ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। আর ভেতর-বাহির মিলিয়ে প্রায় সাত হাজার মুসল্লী একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন অনায়াসেই।
ঘুরতে আসা পর্যটকেরা নামাজ আদায় করে মুগ্ধ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। অনেকে আবার সপরিবারে দেখতে আসছেন ঢাকা থেকে। পবিত্র স্থানটিতে কিছু সময় পার করতে পেরে বেশ আনন্দিত পর্যটকেরা।
বিশিষ্টজনেরা মনে করছেন- ‘অচিরেই মসজিদটি বিশ্ব স্থাপত্যে জায়গা করে নেবে। শুধু বরিশালের মানুষ নয় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দর্শনার্থীরা আসছেন মসজিদ কমপ্লেক্স দেখার জন্য। অল্প কিছুদিনের মধ্যে আমাদের বিশ্বাস আমাদের এই মসজিদটি আন্তর্জাতিক স্থাপত্যে জায়গা করে নিতে পারবে। দেশ-বিদেশের পর্যটকরা এখানে ভিড় জমাবে।’
মসজিদ পরিচালনা কমিটির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সমাজসেবক সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু নান্দনিক এ মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদটির উদ্বোধনের কাজ শুরু হয় ২০০৬ সালে। মসজিদটি পরিচালনার খরচ নেয়া হয় না আগতদের থেকে। মসজিদটির নিজস্ব একটি পেট্রলপাম রয়েছে। সেখান থেকেই বহন করা হয় মসজিদটির সকল প্রকার ব্যয়।
কমপ্লেক্সটির মধ্যে আরো রয়েছে একটি এতিমখানা ও হাফিজিয়া মাদরাসা।
রাতে রঙিন আলোয় ঝলমল করে উঠে পুরো মসজিদ কমপ্লেক্স । তখন তার শোভা আরো কয়েকগুণ বেড়ে যায়। রাতের আঁধারেও দর্শনার্থীরা ভিড় জমাতে পছন্দ করেন মসজিদ কমপ্লেক্সে।
https://www.facebook.com/IndependentTVNews/videos/607805543082827/
আরএম/