শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

বিপদ-আপদ থেকে মুক্তির দোয়া

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বিপদ-আপদ মানুষের নিত্যসঙ্গী। বিপদ কখনও বলে-কয়ে আসে না। কখন কার ওপর কোন সমস্যা ও বিপদ নেমে আসে তা কেউ জানে না। স্বাভাবিকভাবে বিপদ বা সঙ্কটে পড়লে মানুষ হতবিহ্বল হয়ে যায়। মানুষের চিন্তা-ভাবনা বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে, মানুষ দিশেহারা হয়ে করণীয় ভুলে যায়।

তবে বিপদে পড়লে সবার প্রথমে আল্লাহ তায়ালার কাছে বিপদ থেকে সাহায্য চাইতে হয়। তিনিই একমাত্র উদ্ধারকারী। তিনি চাইলে মুহূর্তেই যেকোনো বিপদ থেকে মুক্তি দিতে পারেন। সব ধরেনের পেরেশানি দূর করে দিতে পারেন।

বিপদাপদ থেকে পরিত্রাণের জন্য কুরআন এবং রাসুলুল্লাহ সা.-এর হাদিসে কিছু দোয়া ও আমলের কথা বর্ণিত হয়েছে। হজরত আনাস রা. বলেন, যখন হজরত রাসুলুল্লাহ সা.- এর ওপর কোনো কাজ কঠিন হয়ে দেখা দিত, তখন তিনি এ দোয়াটি পড়তেন। -তিরমিজি: ২৪৫৪

উচ্চারণ: ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুমু বিরাহমাতিকা আসতাগিছু। অর্থ: হে চিরঞ্জীব! হে বিশ্ব চরাচরের ধারক! আমি তোমার রহমতের আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

হজরত রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, মাছের পেটে ইউনুস আ. এ দোয়া পড়ে আল্লাহ তায়ালাকে ডেকেছিলেন এবং মুক্তি পেয়েছিলেন। যদি কোনো মুসলিম বিপদে পড়ে এ দোয়া পাঠ করে, আল্লাহ তা কবুল করবেন। –সুনানে তিরমিজি: ২২৯২

উচ্চারণ: লাইলা-হা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতুমিনাজ্জালিমিন। -সূরা আম্বিয়া: ৮৭। অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তুমি মহাপবিত্র। নিশ্চয়ই আমি সীমা লঙ্ঘনকারীদের অন্তর্ভুক্ত।

বিপদ-মসিবত থেকে বেঁচে থাকতে এই দোয়াগুলোও পাঠ করা যেতে পারে।

উচ্চারণ: ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি ওয়া আখলিফলি খাইরাম মিনহা।

অর্থ: আমরা আল্লাহর জন্য এবং আমাদেরকে তারই দিকে ফিরে যেতে হবে। হে আল্লাহ! বিপদে আমাকে সওয়াব দান করুন এবং যা হারিয়েছি তার বদলে তার চেয়ে ভালো কিছু দান করুন। -সহিহ মুসলিম

অন্য আরেক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ সা. বিপদের সময় এই দোয়াটি পাঠ করতেন- উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হালিমুল হাকিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আজিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি- ওয়া রাব্বুল আরশিল কারিম।

অর্থ: আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, তিনি পরম সহিষ্ণু ও মহাজ্ঞানী। আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, তিনি মহান আরশের প্রভু। আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, তিনি আকাশমন্ডলী, জমিন ও মহাসম্মানিত আরশের প্রভু। -সহিহ বোখারি ও মুসলিম।

দোয়া  কবুলের বহুঘটনা থেকে কিছু ঘটনা নিয়ে লেখা হয়েছে দু’য়া কবুলের গল্পগুলো

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ