শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা ইসলামি লেখক ফোরামের বৈঠক অনুষ্ঠিত, আসছে নতুন কর্মসূচি সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কারাগারে উত্তপ্ত খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি

হজ থেকে ফিরে হাজিরা যে আমল করবেন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম: হজ থেকে ফিরে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ‍আমল আছে যা রাসুল সা. করতেন। হজ থেকে ফিরে এসে নিকটস্থ মসজিদে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা সুন্নাত। হজরত কাব বিন মালেক রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সা. যখন কোনো সফর থেকে ফিরে আসতেন, তখন মসজিদে (নফল) নামাজ আদায় করতেন। (বুখারি শরিফ)

হজ থেকে ফিরে শুকরিয়াস্বরূপ গরিব-মিসকিন ও আত্মীয়স্বজনকে খাবারের দাওয়াত দেওয়া বৈধ। ইসলামী ফিকহের পরিভাষায় সে খাবারকে ‘নকিয়াহ’ বলা হয়।

অন্য হাদিসে জানা যায়, ‘রাসুল সা. যখন মদিনায় এসেছেন, তখন একটি গরু জবাইয়ের নির্দেশ দেন। জবাইয়ের পর সাহাবিরা তা থেকে আহার করেছেন।’ (বুখারি) তবে অহংকার, লোকদেখানো ও বিশেষ উদ্দেশ্য সামনে রেখে এমন দাওয়াতের ব্যবস্থা করা ইসলাম অনুমোদন করে না। (ফতোয়ায়ে মাহমুদিয়া-৭/১৮৫)

ঘরে ফিরে দুই রাকাত নামাজ আদায়
হজ থেকে দেশে ফেরার পর ঘরে পৌঁছে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা মুস্তাহাব। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘যখন তুমি ঘর থেকে বের হবে, তখন দুই রাকাত নামাজ পড়বে।

সেই নামাজ তোমাকে ঘরের বাইরের বিপদাপদ থেকে হেফাজত করবে। আর যখন ঘরে ফিরবে, তখনো দুই রাকাত নামাজ আদায় করবে। সেই নামাজ তোমাকে ঘরের অভ্যন্তরীণ বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত করবে।’ (মুসনাদে বাজ্জার)

হজযাত্রীদের অভ্যর্থনা ও শুভেচ্ছা
যারা হজ করে আসছেন, তাদের অভ্যর্থনা ও শুভেচ্ছা জানানো, তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ, মুসাফাহ ও কোলাকুলি করা এবং তাদের দিয়ে দোয়া করানো মুস্তাহাব।

কিন্তু ফুলের মালা দেওয়া, তাদের সম্মানার্থে স্লোগান ইত্যাদি দেওয়া সীমা লঙ্ঘনের অন্তর্ভুক্ত। এসব কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত। (আপকে মাসায়েল আওর ইনকি হল-১/১৬২)

জমজমের পানি পান করানো
হজে গেলে হজযাত্রীরা জমজমের পানি সংগ্রহ করেন। বাড়িতে আসার সময় নিয়ে আসেন। এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। জমজমের পানি নিয়ে এসে লোকদের পান করানো মুস্তাহাব। অসুস্থ রোগীদের গায়ে ব্যবহার করাও বৈধ। (মুয়াল্লিমুল হুজ্জাজ-৩০৩)

আয়েশা রা. জমজমের পানি সঙ্গে করে নিয়ে যেতেন এবং বলতেন, ‘রাসুল (সা.) জমজমের পানি সঙ্গে নিয়ে যেতেন।’ (তিরমিজি-১১৫)

হজযাত্রীদের হাদিয়া-উপহার
আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, পাড়া-পড়শী ও যে কাউকে হাদিয়া-তোহফা দেওয়া সুন্নত। কিন্তু মনের আগ্রহ ছাড়া দেওয়া অনুচিত। কারণ শুধু প্রথা পালনের জন্য কোনো কাজ করা শরিয়তসম্মত নয়।

হাজিদের উপহার দেওয়া ও তাদের থেকে হাদিয়া নেওয়া এক ধরনের প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে এটা নামের জন্য বা চক্ষুলজ্জার কারণে দেওয়া হয়। তাই এসব কাজ বর্জন করা উচিত। (আপকে মাসায়েল-৪/১৬১)

‘হাজি সাহেব’ বা ‘আলহাজ’ বলা ডাকা
বস্তুত মানুষ ইবাদত-বন্দেগি করে একমাত্র আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্য। কেউ নিয়মিত ঠিকভাবে নামাজ পড়লে তাকে কেউ ‘নামাজি সাহেব’ বলে না অথবা এ ধরনের কোনো উপাধী ব্যবহার করা হয় না।

তেমনি হজ করলেই ‘হাজি সাহেব’ বলা নিয়ম নয়। ‘হাজি সাহেব’ বা ‘আলহাজ’ হওয়ার জন্য হজ পালন করা অবৈধ।

মানুষজন যদি সম্মানার্থে ‘হাজি সাহেব’ বলে ডাকেন, তাহলে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু স্বপ্রণোদিত হয়ে নিজের নামের সঙ্গে ‘হাজি’ বা ‘আলহাজ’ ব্যবহার করা অসঙ্গত।

পাশাপাশি কেউ এ বিশেষণটি উল্লেখ না করলে, মনঃক্ষুণ্ন হওয়াও গর্হিত। (মুকাম্মাল মুদাল্লাল মাসায়েলে হজ ও ওমরাহ-৩২১)

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ