শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

বরিস জনসনের মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রী হলেন সাজিদ জাভিদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: যুক্তরাজ্যের সদ্য দায়িত্ব নেওয়া প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সরকারের অর্থমন্ত্রী হয়েছেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাজিদ জাভিদ। এর মধ্য দিয়ে দেশটির প্রথম মুসলিম অর্থমন্ত্রী হলেন তিনি। খবর বিবিসি-এর।

খবরে বলা হয়, বুধবার রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছে সরকার গঠনের অনুমতি নেন বরিস জনসন। এরপরই তিনি নিজের মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রী হিসেবে সাজিদের নাম ঘোষণা করেন।

৪৯ বছর বয়সী এই মুসলিম কনজারভেটিভ এমপি থেরিজা মে সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। প্রথম কোনো মুসলিম হিসেবে যুক্তরাজ্যের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান তিনি।

সাজিদ জাভিদের বাবা ১৯৬০ এর দশকে পাকিস্তান থেকে এদেশে এসে প্রথমে কাপড়ের কারখানায় শ্রমিক হন। পরে বাস চালাতেন।

দেশটিতেই জন্ম নেওয়া জাভিদ পড়াশোনা করেন অর্থনীতি বিষয়ে। মাত্র ২৫ বছর বয়সেই মার্কিন চেজ মানহ্যাটন ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট হন তিনি।

এএফপির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাকিস্তানি অভিবাসী বাস-চালকের সন্তান সাজিদ জাভিদ একটি আধুনিক, বহু-সংস্কৃতি ও মেধাভিত্তিক ব্রিটেনের প্রতিচ্ছবি।

২০১৮ সালের এপ্রিলে ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান সাবেক এ বিনিয়োগ ব্যাংকার । ক্যারিবীয় অভিবাসী শিশুদের ওপর একটি কেলেঙ্কারি ভালোভাবে সামাল দিয়ে ৪৯ বছর বয়সী এ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সবার প্রশংসা কুড়িয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেই ২০ বছর বয়সে কনজারভেটিভ পার্টিতে যোগ দেন তিনি। পরবর্তীতে ব্যাংকিং পেশা থেকে পুরোদমে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ২০১০ সালে ব্রোমসগ্রোভ থেকে নির্বাচন করে পার্লামেন্ট সদস্য হন তিনি।

থেরিজা মে পদত্যাগের ঘোষণা দিলে পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে তিনিও ছিলেন। তাকে যুক্তরাজ্যের প্রথম মুসলিম প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও ধরা হচ্ছিল।

কিন্তু তাকে ছাপিয়ে কনজারভেটিভ নেতা হওয়ার পথে এগিয়ে যান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। পরবর্তীতে দলীয় ভোটে জেরেমিকে হারিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন জনসন।

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ