রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪ ।। ২৫ কার্তিক ১৪৩১ ।। ৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


যে কারণে সৌদিতে সেনা মোতায়েন করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রকিব মুহাম্মদ: বিগত সপ্তাহের শুরু থেকে সৌদি আরবে সেনা মোতায়েন করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র-এমন একটি সংবাদ মুসলিম বিশ্বে চাপা উত্তেজনা সৃষ্টি করে। মুসলিম বিশ্বের বুদ্ধিজীবি ও সচেতন মহল এ খবরে বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। রাসুলের জন্মন্থান সৌদি আরবে কেন মার্কিন সৈন্য মোতায়ন করা হচ্ছে-  মূলত এমন প্রশ্নেই বিশ্ব মুসলিমদের মধ্যে উত্তেজনার জন্ম নেয়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইতিমধ্যে সৌদিতে সেনা ও সরঞ্জাম মোতায়েনের বিষয়টি অনুমোদন করেছে। বাদশাহ সালমানও মার্কিন সেনাদের আমন্ত্রণের সিদ্ধান্তে সায় দিয়েছেন।

শুক্রবার সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় টুইটার পোস্টে জানায়, ‘আঞ্চলিক হুমকির মুখে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিনের অংশীদারত্বকে জোরালো করছে।’ বাদশাহ সালমান যুক্তরাষ্ট্রকে সৌদি আরবে সেনা মোতায়েনের অনুমতি দিয়েছেন বলেও জানানো হয়।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের বরাতে সৌদি সরকারি বার্তা সংস্থা এসপিএ বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের যৌথ সহযোগিতার ওপর ভিত্তি করে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা সুরক্ষার আকাঙ্ক্ষা থেকে তারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সম্প্রতি মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে সিএনএন আভাস দিয়েছিল, ইরানের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই সৌদি আরবের সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক আরও জোরালো করতে যাচ্ছেযুক্তরাষ্ট্র। এর অংশ হিসেবে দেশটিতে নতুন করে ৫০০ মার্কিন সেনা পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ওয়াশিংটন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, সৌদি আরবে প্রায় ৫০০ সেনা সদস্যকে মোতায়েন করা হতে পারে। পেন্টাগনের গত মাসের ঘোষণার অংশ হিসেবে তাদের মোতায়েন করা হবে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, ইরাক যুদ্ধের শেষ হওয়ার পরে ২০০৩ সাল থেকে মার্কিন বাহিনীকে আমন্ত্রণ জানায়নি সৌদি আরব। তখন সৌদি আরবে মার্কিন সেনাদের উপস্থিতি ছিল এক যুগের বেশি। কুয়েতে ইরাকের অভিযানের পর ১৯৯১ সালে অপারেশন ডেজার্ট স্ট্রোম শুরু হলে সৌদিতে মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হয়।

এর আগে গত জুনে পেন্টাগন জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে তারা এক হাজার সেনা মোতায়েন করবে। কিন্তু কোথায় তাদের মোতায়েন করা হচ্ছে, তা বলা হয়নি। সর্বশেষ খবর এলো সৌদি বাদশাহর অনুমতিক্রমে দেশটিতে মার্কিন সেনারা নতুন করে পা রাখতে চলেছে।

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ