শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

‘পবিত্র প্রজন্ম’ তৈরি করতে সহশিক্ষা বন্ধ করতে চান এরদোগান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম ♦

তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রজব তাইয়্যেব এরদোগান বলেছেন, তিনি জাতিকে একটি ‘পবিত্র প্রজন্ম’ উপহার দিতে সহশিক্ষা বন্ধ করতে চান।

রয়টার্সের করা এক প্রতিবেদনের বরাতে জানা যায়, তিনি ২০১৮ সাল থেকেই সহশিক্ষা বাদ দিয়ে নতুন করে স্কুলগুলো আলাদাভাবে সাজিয়ে তুলতে। সে পরিবর্তনের লক্ষ্যে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন বলেও জানা যায়।

তিনি তার হারিয়ে যাওয়া শৈশবের কথা তুলে ধরেছেন,  তুরস্কের ইস্তাম্বুলের একটি পাহাড়ে ধর্মীয় স্কুল ছিলো, সে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো ৫০ বছর আগে।

শ্রমিক শ্রেণির মানুষদের মাধ্যমে ইসলামের দীক্ষা দিতে শুরু করা হয়েছিলো তাতে। সে ইসলামের ক্লাসে যোগ দিয়েছিল ছোট্ট ছেলে রজব তাইয়্যেব এরদোগান। আজকের যিনি আধুনিক তুরস্কের রূপকার।  এ স্কুলটি প্রথম এমন স্কুল ছিলো যাতে তরুণদেরকে ইমাম ও দীনের প্রচারক হিসাবে শিক্ষিত করে তুলতো। এরদোগান কুরআন শিক্ষা করেছেন সেখানেই। দীনের নানান বিষয়ে জ্ঞানও অর্জন করেন।

পুত-পবিত্র পরিবেশে ছাত্ররা ইসলামের সুমহান বাণী, সুমহান শিক্ষা অর্জন করতো সেখান থেকে। সেখানে কোনো সহশিক্ষা ছিলো না। ছিলো না ছেলে মেয়েদের অবাদ মেলামেশার সুযোগ।

সেখান থেকে যারা শিক্ষা নিয়েছে তাদেরকেই ইসলামের মহান পণ্ডিত বলে স্বিকার করেছে মানুষ। তিনি  বলেন, আমি এমন এক প্রজন্ম উপহার দিতে চাই তুরস্ককে।

তিনি ৫০ বছর পর গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে তার পুরানো স্কুলে যান। ১১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান সহায়তা দেন সে স্কুলটিতে।

সংস্কার শেষে স্কুলটির নতুন নাম দেয়া হয় রজব তাইয়্যেব এরদোগান আনাতোলিয়ান ইমাম হাতিপ উচ্চ বিদ্যালয়। তিনি মনভরে স্মরণ করেন এ স্কুলে তার শৈশবের ‘কঠিন দিন’গুলো।

তিনি এ লক্ষ্য সামনে রেখে বলেন, সব শিক্ষা ও আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার যৌথ লক্ষ্য হল ছাত্রদের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের প্রতি সম্মান প্রদর্শনবোধ তৈরি করা। আর ভালো মানুষ করে গড়ে তোলা। আর আমি মনে করি মন ও মননে পবিত্রতা আসবে তখনই, যখন একটি ছাত্র সহশিক্ষার প্রভাবমুক্ত থাকবে।

 

এরদোগান আরো বলেন, আমি স্বপ্ন দেখি এমন একটি জাতির যারা ‘ধর্মীয় প্রজন্ম’ উহার দিবে। নতুন সভ্যতার নির্মাণের জন্য কাজ করবে। এ বিষয়ে তিনি আরো আবেগঘণ বক্তৃতা দিয়েছেন। সূত্র: রয়টার্স

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ