শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল

রক্তদানের আগে যা জানতে হবে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম:  কোন ব্যক্তির প্রয়োজনে রক্ত দেয়া মহত কাজ। সচেতনতার অভাবে এবং কিছু ভুল ধারণার কারণে আমরা অনেকেই রক্তদানের মতো মহত কাজ থেকে নিজেকে বঞ্চিত করছি। সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ প্রতি ১২০ দিন পর কোন রকম শারীরিক ক্ষতি ছাড়াই রক্ত দিতে পারে।

কেটে ফেলা চুল-নখ যেমন আমাদের কাজে লাগে না, তেমনি নিয়মিত ব্যবধানে ভেঙ্গে যাওয়া রক্তকণিকাও আমাদের কোন কাজে আসে না। অথচ এ রক্ত দিয়ে অন্যের জীবন বাঁচাতে ভূমিকা রাখতে পারি।

দুর্ঘটনায় আহত, ক্যান্সার বা অন্য কোন জটিল রোগে আক্রান্তদের জন্য, অস্ত্রোপচার কিংবা সন্তান প্রসব অথবা থ্যালাসেমিয়ার মতো বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় রোগীকে রক্ত দেয়ার প্রয়োজন হয়। রক্তের অভাবের কারণে প্রতিবছর বহু রোগীর প্রাণ সংকটের মুখ পড়ে।

স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতের ইন্দ্রপৃষ্ঠ হাসপাতালের ‘ট্রান্সফিউশন মেডিসিন’, ‘মোলিকিউলার বায়োলজি’ এবং ‘ট্রান্সপ্লান্ট ইমিউনোলজি’ বিভাগের পরামর্শদাতা ডা. মোহিত চৌধুরির জানান, রক্ত এক ধরনের জটিল টিস্যু যা লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেতকণিকা, অনুচক্রিকা ও ‘প্লাজমা’য়ের মিশ্রণে গঠিত।

দান করা রক্ত লোহিত রক্তকণিকা, অনুচক্রিকা, ‘প্লাজমা এবং ‘ক্রায়োপ্রিসিপিটেইট’য়ে বিভক্ত করা হয়। এক ব্যাগ রক্ত থেকে বের করে আনা যায় কয়েকটি উপাদান। আর তাই বলা হয়ে থাকে, এক ব্যাগ রক্ত বাঁচাতে পারে তিনটি জীবন।

রক্তদানকারীরা সরাসরি রক্ত কিংবা রক্তের যে কোনো উপাদান দান করতে পারেন। রক্তের নির্দিষ্ট উপাদান দান করার প্রক্রিয়াকে বলা হয় ‘অ্যাফেরেসিস’।

সাধারণত একটি রক্তের ব্যাগে ৪৫০ মি.লি. লিটার রক্ত ধারণ করা যায়। আর এইটুকুই একজন রক্তদাতা একবারে দান করতে পারেন। মানুষের শরীরে রক্তে পরিমাণ নির্ভর করে তার ওজন, বয়স এবং উচ্চতার ওপর।

একজন মানুষ এক ব্যাগ রক্ত দান করার পর তার ওজন, বয়স এবং উচ্চতার ওপর ভিত্তি করে কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই স্বাস্থ্যের উপর কোনোরকম প্রভাব ছাড়াই রক্তে ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়।

রক্তদান করার জন্য দাতার বয়স অবশ্যই ১৮ বছর বা তার বেশি হতে হবে। ওজন ৪৫ কেজির নিচে হলে ওই ব্যক্তি রক্তদান করতে পারবেন না। এছাড়াও যে কোনো ধরনের ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস কিংবা ছত্রাকজনীত রোগে আক্রান্ত থাকলেও ওই ব্যক্তি রক্তদান করতে পারবেন না। গর্ভবতী ও বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন এমন নারীরাও রক্তদান করতে পারবেন না।

রক্তদানের দুতিন ঘণ্টা আগে পরিপূর্ণ খাবার খাওয়া উচিত যাতে রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল থাকে। যেহেতু শরীরের থেকে বেশ বড় মাত্রার তরল বেরিয়ে যাবে তাই রক্তদাতাকে পানি, শরবত ইত্যাদি পানীয় পান করতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে, যাতে রক্তচাপ কমে না যায়।

রক্তদান করার পর কফিযুক্ত পানীয় বর্জন করতে হবে আর খেতে হবে লৌহ ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার ও পানীয়।

গড় হিসেবে একজন মানুষ তিন মাস (১২০ দিন) অন্তর অন্তর রক্তদান করতে পারেন। তবে রক্তের উপাদানের ক্ষেত্রে হিসেব ভিন্ন।

যেমন অনুচক্রিকা একজন তিন দিন পর পর দান করতে পারবেন, তবে এক বছরে সর্বোচ্চ ২৪ বার দান করা যাবে।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ