শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা নেতানিয়াহুকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ইসরায়েলি নাগরিক গ্রেপ্তার ‘উলামায়ে কেরামদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন অসম্ভব’ নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে প্রধান উপদেষ্টার গাজাজুড়ে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ২৮ ফিলিস্তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত 'ঢাবি ও জাবির হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে' ঢাবিতে যুবক হত্যায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন আটক কওমী মাদরাসার ছাত্রদেরকে বিসিএস এ অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া বৈষম্য: মুফতী ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই  সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকায় সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ

রেডিও শুনে শুনেই হাফেজ হলেন অন্ধ শিশুটি!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম: ছেলে জন্মান্ধ তাই দুঃখবোধ থেকে  বাচ্চাছেলেকে একটি রেডিও কিনে দেন বাবা মুহাম্মদ তাহির। আর এ রেডিওর মাধ্যমেই পুরো জীবন পালটে যায় পাঁচ বছরের জন্মান্ধ বাচ্চা হোসেন মুহাম্মদ তাহিরের।

হোসেন মুহাম্মদ তাহিরের জন্ম মিয়ানমারে। জন্মের পরপরই জেদ্দায় তার বাবার কাছে চলে আসে সে। ছেলে জন্মান্ধ হওয়ায় সময় কাটানোর জন্য একটি রেডিও কিনে দেন বাবা।

মুহাম্মদ তাহির জানান, রেডিও কিনে দিয়ে ২৪ ঘণ্টা কুরআন তেলাওয়াত শোনানো হয় এমন একটি চ্যানেলে ফ্রিকোয়েন্সি সেট করে দেন তিনি। ২৪ ঘণ্টা এই তেলাওয়াত শুনতে শুনতেই কুরআনে হাফেজে পরিণত হয় শিশু হোসেন মুহাম্মদ তাহির।

তবে বাবা তখনও ছেলের এ কীর্তির কথা জানতেন না। ছেলের পাঁচ বছর বয়সে তাকে নিয়ে জেদ্দা থেকে মদিনায় গমন করেন তিনি। সেখানে যাওয়ার পর মসজিদে নববিতে যাওয়ার আবদার করে ছেলে।

বাবা মুহাম্মদ তাহির জানান, তখন আমি অনেকটা মজা করেই তাকে বলি যে, যদি তুমি সূরা বাকারার কয়েকটি আয়াত মুখস্ত বলতে পারো তাহলে তোমাকে মসজিদে নববিতে নিয়ে যাবো। ছেলে তৎক্ষণাৎ পুরো সূরা বাকারা মুখস্ত তেলাওয়াত করে শোনায় বাবাকে।

বিষ্মিত বাবা সঙ্গে সঙ্গেই ছেলেকে নিয়ে কয়েকজন আলেম ও হাফেজের কাছে যান। তারা জানান, তার ছেলের কুরআন পড়া শুদ্ধ আছে।

একইসাথে তারা সবাই হোসেন মুহাম্মদ তাহিরকে কোরআন মুখস্থ করার কিছু পদ্ধতি শিখিয়ে দেন। তার কিছুদিন পরেই বাচ্চাটি কুরআনে হাফেজ হয়।

বাবা মুহাম্মদ তাহির বলেন, আমি ছেলের অন্ধত্ব নিয়ে কষ্টে ছিলাম। কিন্তু এখন আমি আমার কষ্টের কথা ভুলে গিয়েছি। আমার কোনো কষ্ট নেই। এখন আমি আমার ছেলেকে নিয়ে গর্বিত।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ