রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪ ।। ২৫ কার্তিক ১৪৩১ ।। ৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


শেষ হলো লেখালেখি ও সাংবাদিকতা কোর্স

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মোস্তফা ওয়াদুদ: রমজানের প্রথম দিন থেকে শুরু হয়েছিলো ‘লেখালেখি ও সাংবাদিকতা কোর্স’। দেখতে দেখতে শনিবার বিদায়ের ঘণ্টা বেঁজে গেলো। পূর্ণতা পেলো ২০ দিনের এ কোর্সের। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ৩০জন শিক্ষার্থী এসেছিলেন কোর্সে। তারা প্রাণভরে উপভোগ করেছেন মহীরূহদের ক্লাস। ভাষা ও সাহিত্যের অলিগলিতে বিচরণ করেছেন তারা।

জেনেছেন লেখালেখির এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। তারা শিখিছেন কীভাবে লিখতে হয় সংবাদ ও ফিচার! পত্রিকার পাতায় কীভাবে লিখতে হয় গদ্য ও পদ্য! কীভাবে করতে হবে সাহিত্য সমালোচনা! ছড়া কবিতার ভূবনে বিচরণ করতে হবে কিভাবে! ২০ দিনে এর সবই আয়ত্ত করেছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অনুভূতিতেই প্রকাশ পেয়েছে এমনটাই। আজকের ‘লেখালেখি ও সাংবাদিকতা কোর্স’ এর সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানে।

আজ শনিবার (২৫ মে) ২০ দিনব্যাপী লেখালেখি ও সাংবাদিকতা কোর্সের সমাপনি পরীক্ষা ও সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠিত হয়। সকাল দশটায় শুরু হয় চূড়ান্ত পরীক্ষা। দুপুর ২ টায় শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সবার হাতে তুলে দেয়া হয় সনদ। পরীক্ষার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা।

বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরামের তত্ত্বাবধানে আয়োজন করা হয় এ ‘লেখালেখি ও সাংবাদিকতা কোর্স’ এর। কোর্সটির আয়োজন করে জনপ্রিয় অনলাইন নিউজপোর্টাল আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম। সহযোগিতায় ছিলো অনলাইন ই-কমার্স বুকশপ রকমারি ডটকম।

কোর্সে প্রথম স্থান অধিকার করেন আকবর কমপ্লেক্স এর হুযাইফা কাসিম। দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন লালবাগ মাদরাসার আরমান হোসাইন। তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন খিলক্ষেত ঢাকার লোকমান হোসাইন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মাদ যাইনুল আবিদীন বলেন, ‘লেখার মাধ্যমে অন্যকে ইসলামী আদর্শের প্রতি টানতে হবে। লেখার ভাষা হবে মাধূর্যপূর্ণ। কথা হবে মধূময়। আর বিষয় হবে সুনির্দিষ্ট। লেখার জন্য এ বিষয়গুলো অনুসরণ করলে সাফল্য কাছে টানবে। কাউকে প্রতিপক্ষ মনে করে লেখা যাবে না। বরং নিজের আপন ভেবে লেখায় অন্যকে কাছে টানতে হবে। এমন যেনো না হয়, লে খার ভাষার কারণে কেউ কষ্ট পেয়ে দূরে সরে যায়।’

তিনি আরো বলেন, ‘এদেশের শিক্ষা সংস্কৃতির জন্য আমাদের অনেক কিছু করার আছে। বিশেষত শিশু সাহিত্যে আমাদের আরোও অবদান রাখতে হবে। শিশুরা ফুলের মতো। তাই শিশুদের জন্য লেখাগুলোও ফুলের মতো হতে হবে।’

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে কওমি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুস সামাদ বলেন, ‘লেখার জন্য প্রচুর পড়তে হবে। লেখায় গতিশীল থাকতে হবে। ভাষাগত ত্রুটি হতে বাঁচতে হবে। একজন লেখকের সবচেয়ে বড় শিল্প তার ভাষা। যার ভাষা যত বেশি ঝরঝরা হবে। মানুষ তার লেখায় তত বেশি মুগ্ধতা খোঁজে পাবে। সমাজে একজন লেখক বেঁচে থাকেন যুগের পর যুগ। তাই লেখকের চিন্তাটা হতে হবে অনেক সুদৃঢ় প্রসারী। লেখার অনেক কাল পরেও কোনো পাঠক পড়লে যেনো মনে করে আজকের কথাই লেখা আছে লেখকের বইতে।’

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরাম-এর সভাপতি জহির উদ্দীন বাবর বলেন, লেখালেখির এ কোর্স হতে সকলকে নতুন পথে যাত্রা করা শিখতে হবে। এগিয়ে যেতে হবে সম্মুখে। মনে রাখতে হবে, একজন লেখক বেঁচে থাকবে চিরদিন। তাই লেখাগুলো যেনো হয় চিরদিনের। সেটি লেখায় ফুটিয়ে তুলতে হবে। লেখক মানে সৃষ্টিশীলতা। একজন লেখকের মনে সর্বদা সৃষ্টিশীল বিষয় বিরাজ করবে। লেখককে হতে হবে সৃজনশীল।

অনুষ্ঠানে আওয়ার ইসলাম সম্পাদক হুমায়ুন আইয়ূব শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। এছাড়া অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক কবি মুনীরুল ইসলাম। অনলাইন ই-কমার্স বুকশপ রকমারি ডটকমের ইহসান হক, ইসলামী যুব আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক এইচ এম কাউসার বাঙ্গালী প্রমুখ। কোর্সের শিক্ষার্থী উবাইদুল্লাহ মাহমুদের পরিচালনায় এতে কোর্সের শিক্ষার্থীগণ তাদের অভিজ্ঞতা ও অভিব্যক্তি তুলে ধরেন।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ