সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ ।। ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ১০ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আনিসুজ্জামান চৌধুরী বিরতিকে কাজে লাগিয়ে মুসলিম ফুটবলারদের ওমরা পালন ধর্ষণের বিচারে শরয়ি আইন থাকলে, কোন শিশু আর ধর্ষিত হতো না: উলামা-জনতা ঐক্য পরিষদ শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় ঈদে নতুন নোট বিতরণ স্থগিত ধর্ষণ এবং নারীর পরিচয় নিয়ে অবমাননায় ১৫১ আলেমের বিবৃতি ১০ম তারাবির নামাজে তিলাওয়াতের সারমর্ম ত্রাণ বন্ধের পর এবার গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করছে ইসরায়েল তারাবিতে ফাইভ জি স্পিডে তেলাওয়াত করবেন না: আজহারী ‘আলেমদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তোলা জিহাদ নয়, সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

রোজাবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভাঙবে কি?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুফতি মোস্তফা ওয়াদুদ কাসেমী: ভার্সিটির ছাত্র মুরাদ। বয়স ১৮ । সুঠামদেহের লম্বা বালক। ওকে দেখলে কেউ বলবে না ওর বয়স ১৮। বরং ২৫ বছরের টগবগে যুবকের মতো দেখা যায়।

এখন রমজান চলছে। মুরাদ সবগুলো রোজা রাখছে। কিন্তু ওর বন্ধুদের কাছে ওর স্বপ্নদোষের কথা বললে ওরা বলে যে, মুরাদ তোর রোজা হবে না।মুরাদ চিন্তায় পড়ে যায়। তাহলে কি এতদিনের রোজা বিফলে গেলো? এদিকে ওর স্বপ্নদোষও বন্ধ হচ্ছে না। তাই সঠিক মাসআলা জানতে মুরাদ স্মরণাপন্ন হয়েছে মুফতি সাহেবের কাছে।

পূর্ণ ঘটনা বর্ণনা করে প্রশ্ন করেছে মুরাদ। রমজানে দিনের বেলা স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভাঙবে কি? আমার এতদিনের রোজা কি সঠিক হয়েছে? দলিলসহ জানালে উপকৃত হবো।

উক্ত মাসআলার উত্তর হলো, না। স্বপ্নদোষের কারণে রোজা ভাঙবে না। সুতরাং আপনার রোজা সঠিক হয়েছে। আপনার বন্ধুদের কথা সঠিক হয়নি। মোটকথা রমজান মাসে দিনের বেলা ঘুমানোর পর যে স্বপ্নদোষ হয়। তাতে রোজা ভাঙবে না।

কেননা হাদিসে আছে, আবু সাঈদ খুদরী রা. বলেন, নবি করিম সা. বলেছেন, তিনটি জিনিস রোজা ভঙ্গের কারণ নয় । যথা- বমি, শিঙ্গা লাগানো ও স্বপ্নদোষ। (সুনানে নাসাঈ, বাইহাকী ৪/২৬৪; আদ্দুররুল মুখতার ২/৩৯৬)

তবে এ স্বপ্নদোষ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে না হতে হবে। এমনিভাবে যদি কোনো ব্যক্তির চিন্তায় আচমকা কোনো যৌন ভাবনা এসে উদয় হয় বা কোনো যৌন উত্তেজক চিন্তা চলে আসে যা সে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মাথায় আনেনি। আর এতে তার বীর্যপাত ঘটে যায় তাহলেও তার রোজা ভাঙবে না। এক্ষেত্রে হুকুম হলো, স্বপ্নদোষ হয়েছে এমনটা বোঝা মাত্রই ফরয গোসল করে নিজেকে পবিত্র করে নিতে হবে।

আর বমির ব্যাপারে হাদিসে আছে, যে ব্যক্তি অনিচ্ছায় বমি করল তার রোজা ভাঙবে না। পরে তাকে রোজাটি কাযাও করতে হবেনা। কিন্তু যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় বমি করল তার রোজা অবশ্যই কাযা করতে হবে। (সুনানে আবূ দাউদ- ২৩৮০)

এ সংক্রান্ত আরেকটি মাসআলা হলো, হস্তমৈথুন। কেউ যদি হস্তমৈথুন বা অন্য কোনোভাবে স্বেচ্ছায় বীর্যপাত ঘটায় তাহলে তার রোজা ভেঙে যাবে। এবং তাকে রোজার কাযা কাফফারা উভয়টি আদায় করতে হবে।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ