আওয়ার ইসলাম: স্বাস্থ্যসেবা তহবিল সংগ্রহ না হলে ১৭০০ আহত ফিলিস্তিনির পা কেটে ফেলা হতে পারে বলে মনে করছে জাতিসংঘ। আগামী দুই বছরে এ অঙ্গচ্ছেদ হতে পারে পায়ে। ইতোমধ্যে চলতি বছরে শিশুসহ ১২০ জনের পা কেটে ফেলতে হয়েছে।
পা কেটে ফেলা বা অঙ্গচ্ছেদ এড়াতে অস্ত্রপচারের জন্য ২০ মিলিয়ন ডলারের তহবিল সংগ্রহের চেষ্টা করছে জাতিসংঘ
অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনের জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক সমন্বয়কারী জেমি ম্যাকগোল্ডরিক বলেন, ‘কেবল গত বছরেই সাত হাজার প্রতিবাদী ফিলিস্তিনিকে গুলি করে আহত করে ইসরায়েলি বাহিনী। এদের অনেকেই পায়ের নিচের অংশে গুলিবিদ্ধ হয়’।
জেমি ম্যাকগোল্ডরিক বলেন, ‘গুলিতে আহতদের মধ্যে ১৭০০ জনের জরুরি সহায়তা প্রয়োজন। জটিল অস্ত্রোপচার না হলে আর হাঁটতে পারবে না তারা। তাদের পুনরায় হাঁটার জন্য আগামী দুই বছরের মধ্যে অত্যন্ত গুরুতর এবং জটিল অস্থি পুনঃস্থাপন অস্ত্রোপচার প্রয়োজন’।
অর্থায়ন ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ঝুঁকি রয়েছে। সেখানের একমাত্র টিচিং হাসপাতালটিতে এখন গভীর ক্ষত সারাতে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। কেননা, অঙ্গচ্ছেদের ঝুঁকি এড়ানোর মতো জটিল চিকিৎসা পরিচালনার সামর্থ্য নেই সেখানকার চিকিৎসকদের।
প্রসঙ্গত, ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অবসান এবং পূর্বপুরুষের ঘরবাড়ি ফিরে পাওয়ার দাবিতে ২০১৮ সালের ৩০ মার্চ থেকে 'গ্রেট মার্চ অব রিটার্ন' নামের বিক্ষোভ শুরু করেন ফিলিস্তিনিরা। ওই বিক্ষোভে ৯৩ হাজার মানুষ আহত হয়। ইসরায়েলের দাবি, বিক্ষোভ চলাকালে পায়ে গুলি করার কারণে সহিংসতা এড়ানো গিয়েছিল।
সূত্র : আরটি