আওয়ার ইসলাম: শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ বোমা হামলার দায় স্বীকারের পর ইসলামিক স্টেট (আইএস) ওই হামলার ব্যাপারে বিশেষ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
এই সন্ত্রাসীগোষ্ঠী আল-নাবা নামের একটি সাপ্তাহিকে ওই হামলার ব্যাপারে স্পেশাল রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে দাবি করেছে, ‘শ্রীলঙ্কায় হামলায় তাদের মূল টার্গেট ছিল খ্রিস্টানরা। সব সময় ক্রুসেডররা মনে করেন যে, তারা তাদের প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে এবং ইসলামের আবাসভূমি তারা ছিনিয়ে নিয়েছে।’
শ্রীলঙ্কায় হামলার ব্যাপারে আইএসের বিশেষ এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খিলাফতের সৈনিকদের একটি গ্রুপ যুদ্ধে লিপ্ত খ্রিস্টানদের বেশ কয়েকটি গীর্জা টার্গেট করে চালিয়েছে। শ্রীলঙ্কার বেশ কিছু শহরে ক্রুসেডার রাষ্ট্রের নাগরিকদের কুফরি অনুষ্ঠান উদযাপন টার্গেট করে এই হামলা চালানো হয়েছে।
সৌদি আরবে আইএসের একটি হামলার চেষ্টা নস্যাতের ব্যাপারেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। গত ২১ এপ্রিল সৌদির রাজধানী রিয়াদে দেশটির নিরাপত্তাবাহিনীর একটি স্থাপনায় আইএস হামলা চালায়।
এই হামলায় আইএসের কেন্দ্রীয় শাখা থেকে চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে আল-নাবা। এর একদিন আগে আফগানিস্তানে একটি হামলা হয়, ওই হামলারও দায় স্বীকার করেছে তারা।
তাদের দাবি, এই হামলায় ৩৫০ জন নিহত ও ৬৫০ জন আহতদের মধ্যে আমেরিকা, স্পেন, ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, হল্যান্ড এবং ভারতের ৪৫ জন নাগরিক রয়েছে।
আরবি ভাষায় প্রকাশিত এই প্রতিবেদন বলছে, ক্রুসেডার সামরিক জোটের বিরুদ্ধে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ধর্মীয় যুদ্ধ চলছে এবং এটা কখনই থামবে না। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, নিউজিল্যান্ড হামলার মতো নিজ নাগরিকদের ওপর হামলা চালানোর দরকার নেই আইএসের।
শ্রীলঙ্কায় চালানো সিরিজ বোমা হামলা নিয়ে কিছু তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছে। এতে হামলার বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। ‘ক্রুসেডার জোটের নাগরিকরা অবস্থান করছেন এমন হোটেল এবং বেশ কয়েকটি গীর্জায় আমাদের যোদ্ধা ভাইয়েরা হামলা করেছে। শহীদি এই কার্যক্রম স্বতঃস্ফূর্তভাবে পরিচালিত হয়েছে বলে প্রকাশ করেছে।’
‘আবু হামজা আল-সিলানি কলম্বোর অ্যান্তনি গীর্জায় হামলা চালিয়েছেন। তিনি মুহারিবিন ক্রিশ্চিয়ানের মাঝামাঝি এসে তার বিস্ফোরক বেল্টের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন।
অন্যদিকে, আবু মুহাম্মদ আল সিলানি বাত্তিবালোয়ার জিওন গীর্জার পথে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দেন। আবু ওবায়দা আল সিলানি, আবু আল-বাররা আল -সিলানি ও আবু আল-মুখতার আল-সিলানি কলেম্বোর যেসব হোটেলে খিস্ট্রানরা জমায়েত হয়েছিলেন সেখানে বিস্ফোরণ ঘটান।’
আরএইচ/