আওয়ার ইসলাম: গ্রামীণফোনের কাছে পাওনা ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা আদায়ে হার্ডলাইনে যাচ্ছে সরকার। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এই টাকা পরিশোধ করার চিঠি পাঠানোর পর থেকে নানান অজুহাত দেখাতে শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
২৩ এপ্রিল গ্রামীণফোনের ২২তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এ পাওনাকে ‘আইনগতভাবে ভিত্তিহীন’ বলে উল্লেখ করেছে গ্রামীণফোনের পরিচালনা পরিষদ। এর আগে গণমাধ্যমের কাছে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও ‘আইনগতভাবে ভিত্তিহীন’ বলে বিবৃতি দিয়েছে অপারেটরটি।
এর জবাবে বিটিআরসির চেয়ারম্যান মুহা. জহুরুল হক বলেন, কমিশন ইতিমধ্যেই সব আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গ্রামীণফোনের অডিট শেষ করেছে। সুতরাং, অডিট রিপোর্টের ভিত্তিতে তারা বৈধভাবেই এ টাকা পরিশোধে বাধ্য। তাই গ্রামীণফোনের কাছে পাওনা এ টাকা তাদেরকে অবশ্যই দিতে হবে।
বিটিআরসির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পাওনা টাকা আদায়ে হার্ডলাইনে যাবে কমিশন। এ জন্য আইন মেনে তাদের সেবা দানের এনওসি অবৈধ বা বন্ধ করে দেয়া হতে পারে। একই সঙ্গে গ্রামীণফোনের লাইসেন্স সাময়িকভাবে বাতিল করে দেয়াও হতে পারে।
প্রসঙ্গত, বিটিআরসি ২ এপ্রিল একটি দাবিনামার মাধ্যমে গ্রামীণফোনের কাছে বিটিআরসিকে ৮ হাজার ৪৯৪ কোটি ১ লাখ টাকা এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে ৪ হাজার ৮৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা পরবর্তী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে পরিশোধ করার নির্দেশ দেয়।
-এএ