শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয় : তারেক রহমান দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

শরীফের জবানবন্দি: আগুন দেয়ার সময় মাদরাসার গেটে পাহারায় ছিল তারা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: মাদরাসার ছাত্রী নুসরাত হত্যার মামলার অন্যতম আসামি আব্দুর রহিম শরীফ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানিয়েছে, নুসরাত জাহান রাফিকে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়ার সময় সাতজনকে সঙ্গে নিয়ে সে মাদরাসার গেটে পাহারায় ছিল।

আগুন দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তারা সেখান থেকে চলে যায়। ঘটনার আগের রাতে মাদরাসার পাশের পশ্চিম হোস্টেলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত মোতাবেক শামীমের নির্দেশে তারা এ কাজ করে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাতে ফেনীর আদালতে শরীফ এ জবানবন্দি দেয়। এদিন দুপুর আড়াইটা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ শারাফ উদ্দিন আহমদের আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

স্বীকারোক্তিতে শরীফ আরও জানায়, নূর উদ্দিনের নেতৃত্বে হাফেজ আব্দুল কাদেরসহ মোট সাতজন ঘটনার আগে থেকেই মাদরাসার গেটে ছিল। পরিকল্পনামতো শাহাদাত হোসেন শামীমসহ পাঁচজন নুসরাতের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর নুর উদ্দিন তাদের নির্দেশ দেয় অবস্থান ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যেতে। তারপর তারা সেখান থেকে যে-যার মতো চলে যায়।

ফেনী পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, নুসরাত হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি আব্দুর রহিম শরীফকে বুধবার ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

আলোচিত এ হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও পিবিআই। তাদের মধ্যে ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ দৌলা, কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম, শিক্ষক আবছার উদ্দিন।

সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, নূর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ জনি, মোহাম্মদ আলা উদ্দিন, শাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষের ভাগনি উম্মে সুলতানা পপি, জাবেদ হোসেন, যোবায়ের হোসেন, নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন, মো. শামীম, কামরুন নাহার মনি, জান্নাতুল আফরোজ মনি ও শরিফুল ইসলাম ওরফে শরীফ। এদের মধ্যে মামলার এজহারভুক্ত আট জনের মধ্যে সাত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ