আওয়ার ইসলাম: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গাইনি ও অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সাবেরা খাতুন এবং জাতীয় ক্যানন্সার গবেষণা ইন্সিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন কথা বলেছেন নারীর জরায়ু মুখের ক্যান্সার বিষয়ে । এ রোগ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য দিয়েছেন।
জরায়ু মুখ বলতে আমরা কী বুঝি? সে বিষয়ে বলেন, জরায়ু শরীরের একটি অরগান। যেটাকে আমরা সহজ ভাষায় বলি বাচ্চাদানী। যেখানে বাচ্চা বড় হয়। এই জরায়ুর মুখে অনেক কিছু হয়। অনেক ট্রমা হয়। যার কারণে জরায়ু মুখের ক্যান্সারটা বেশি হয়। জরায়ুর মুখে একটা পাতলা আবরণ থাকে। সেই আবরণ থেকে ক্যান্সার হয়।
জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ কী? এ বিষয়ে বলেন, জরায়ু মুখের ক্যান্সার হওয়ার আগে একটা অবস্থা থাকে। যেটা সব ক্যান্সারে থাকে না। জরায়ু মুখ ক্যান্সারের অবস্থা হলে সে সময়ে মেয়েদের কোন উপসর্গ দেখা যায় না। এ কারণে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে এটা ধরা হয়। আর এই পরীক্ষাগুলোকে বলা হয় স্কিনিং টেস্ট।
তিন রকমের স্কিনিং টেস্ট রয়েছে। আমাদের দেশে ভায়া নামক টেস্টের মাধ্যমে জরায়ু ক্যান্সার আছে কি-না বুঝা যায়। এরপর অলস্কোস্পি নামক টেস্ট করার মাধ্যমে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়। এই ক্যান্সার হয়ে যাওয়ার পর উপসর্গ দেখা যায়। তার আগে উপসর্গ দেখা যায় না।
এরপর জরায়ু মুখে ক্যান্সার কেন হয়? সে বিষয়ে বলেন, অল্প বয়সে যিনা-ব্যবিচার ও যৌনকাজ করার ফলে এবং ৯ থেকে ১৫ বয়সীরা বেশি আক্রান্ত হয় এই মারাত্মক জরায়ু ক্যান্সারে। অল্প বয়েস বাচ্চা প্রসবের ফলেও এ রোগ হতে পারে। জন্মবিরতিকরণ পিল খাওয়ার কারণেও হতে পারে এ রোগ। মাসিকের সময় অস্বাস্থ্যকর থাকা ও অপুষ্টির ফলেও এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
আমাদের দেশে জরায়ু ক্যান্সারের সংখ্যা বিষয়ে বলেন, মুখের ক্যান্সারের পরিসংখ্যানটা সঠিকভাবে উল্লোখ করা যায় না। তবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটা সহযোগী সংগঠন আইএইআরসি'র মতে নারী-পুরুষসহ প্রায় দেড় লাখ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে ৮৩ হাজার ৭১৫ পুরুষ। নারী ৬৭ হাজার। মারা যায় এক লাখ আট হাজার। তার জরায়ু ক্যান্সারের সংখ্যা মধ্যে ৮ হাজার ৬৮টি।
আরএম/