শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা ইসলামি লেখক ফোরামের বৈঠক অনুষ্ঠিত, আসছে নতুন কর্মসূচি সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কারাগারে উত্তপ্ত খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা

‘স্বামী হত্যার বিচার না পেলে সন্তানকে নিয়ে আত্মহত্যা করব’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ব্যবসায়ী সেলিম চৌধুরীকে যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছেন সেই খুনিরা যাতে কিছুতেই পার না পায়। সেলিম হত্যার খুনিরা যদি কোনোভাবে পার পেয়ে যায় তাহলে আমার একমাত্র ছেলে সন্তানকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া শহিদ মিনারে আত্মহত্যা করবো।

আর এ আত্মহত্যার জন্য জেলার প্রশাসন ও সরকার দায়ী থাকবে। আমার স্বামীর হত্যাকারী মোহাম্মদ আলীসহ তার সাঙ্গপাঙ্গদের ফাঁসি চাই।

শনিবার (১২ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে বক্তাবলী সামাজিক সংগঠন ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের আয়োজনে নিহত ব্যবসায়ী সেলিম চৌধুরীর ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠানে নিহত সেলিম চৌধুরীর স্ত্রী রেহেনা আক্তার রেখা এসব কথা বলেন।

মানববন্ধনে নিহতের স্ত্রী রেহেনা আক্তার রেখা আরো বলেন, আমার স্বামী একজন সহজ সরল ব্যক্তি ছিলেন। কারো সঙ্গে উচ্চ স্বরে কথা বলেনি। এমনকি কারো সঙ্গে ঝগড়া করেননি। আমার স্বামীর দুই লাখ টাকা ধার দিয়ে কি অপরাধ করেছিলো? যার কারণে সেই টাকা আত্মসাৎ করতে মোহাম্মদ আলী তার সহযোগীদের নিয়ে সেলিমকে হত্যা করেছেন। আমি চাই খুনি মোহাম্মদ আলী গংরা যাতে কিছুতেই বেরুতে না পারে।

মানববন্ধনে ওই সংগঠনের সভাপতি আলামিন ইকবালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক জামালউদ্দিন বারী, নারায়ণগঞ্জ কলেজের সাবেক ভিপি আলমগীর হোসেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদ মাস্টার, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রাসেল চৌধুরী, আলোকিত বক্তাবলীর সভাপতি নাজির হোসেন, ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের সাধারন সম্পাদক মতিউর রহমান ফকির, অগ্রযাত্রার সভাপতি বাদল হোসেন ববি, নিহতের মা মমতাজ বেগম, নিহতের ছেলে রিতুল চৌধুরী প্রমুখ।

উল্লেখ্য, নিখোঁজের ১০দিন পর ১০ এপ্রিল বিকেলে ফতুল্লার ভোলাইলে মোহাম্মদ আলীর ঝুটের গোডাউনে মাটি খুঁড়ে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই ঝুটের গোডাউন মালিক মোহাম্মদ আলী, দুইজন কর্মচারী ফয়সাল ও ইউনুসকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে ফয়সাল আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যার দায় স্বীকার করে আদ্যোপান্ত স্বীকার করেছেন।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ