শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬


পশ্চিমবঙ্গ-জম্মু-কাশ্মীরসহ প্রথম দফায় ৯১টি আসনে ভোটগ্রহণ চলছে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ভারতে ১৭তম লোকসভার নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।

প্রথম দফায় ভোট হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ, অরুণাচল প্রদেশ, ত্রিপুরা, আসাম, বিহার, জম্মু-কাশ্মীর, উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানাসহ দেশের ২০ রাজ্যের ৯১টি লোকসভার আসনে। তার আগে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় সারাদেশের সাথেই পশ্চিমবঙ্গেও প্রথম দফার নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হয়।

প্রথম দফায় পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার-এই দুইটি কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হবে। দুইটি কেন্দ্রে মোট ১৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কোচবিহারে প্রধান লড়াই হবে তৃণমূলের প্রার্থী পরেশচন্দ্র অধিকারী ও বিজেপির নিশীথ প্রামাণিকের মধ্যে।

এছাড়াও বিপক্ষদের শক্ত লড়াই দিতে পারেন কংগ্রেসের পিয়া রায় চৌধুরী ও বাম প্রার্থী গোবিন্দ রায়। অন্যদিকে, আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের টিকিটে লড়ছেন দশরথ তিরকে, বিজেপির প্রার্থী জন বার্লা, কংগ্রেসের মোহনলাল বসুমাতা, বামেদের প্রার্থী মিলি ওরাওঁ।

আসন্ন নির্বাচনে মোট ৭ দফায় (১১, ১৮, ২৩, ২৯ এপ্রিল এবং ৬, ১২, ১৯ মে) বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে ৫৪৩টি আসনের জন্য ভোট নেওয়া হবে। ৩৯ দিন ধরে চলবে এই ভোটযজ্ঞ। গণনা আগামী ২৩ মে। চলতি সংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৩ জুন। তাই তার আগেই নতুন সরকার গঠন করতে হবে।

এবারের লোকসভা নির্বাচনে গোটা দেশে মোট ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৯০ কোটির মতো। অর্থাৎ দেশটির মোট জনসংখ্যার (১৩০ কোটি) ৬৯.২৩ শতাংশ এবার ভোট দানের অধিকারী হবেন। যেটা সমগ্র ইউরোপ ও ব্রাজিলের মোট জনসংখ্যার প্রায় সমান।

গত লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যাটা ছিল ৮৩ কোটি। এবারে নতুন ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১.৬০ কোটি। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছে ৩৮,৩২৫ জন। মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৮ হাজারেরও বেশি। দেশজুড়ে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে প্রায় ১০ লাখ ৩৫ হাজার।

ভোট নেওয়া হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিং (ইভিএম) যন্ত্রে। ভোটার তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোটটি দিয়েছেন কি না তা জানতে ইভিএম-এর সাথেই যুক্ত থাকছে ভিভিপ্যাট ব্যাবস্থা। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ১৮৪১টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে।

ভোট অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশনও তৎপর। প্রতিটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে সশস্ত্র বহিনী মোতায়েন, স্পর্শকাতর কেন্দ্রে অতিরিক্ত নজরদারি হিসেবে সিসিটিভি ক্যামেরা, ড্রোন, টহলদারি পুলিশ ভ্যানসহ সবধরনের ব্যবস্থা রাখছে।

১.১ কোটি ভোট কর্মীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দুর্গম স্থানে তাদের যাতায়াতের ব্যবস্থার সুবিধার্থে বিমান, হেলিকপ্টার, ট্রেন, নৌকা, নৌকার পাশাপাশি হাতি ও উটের ব্যবস্থা রেখেছে কমিশন। ২০১৪ সালের মতো এবারের নির্বাচনে কোন প্রার্থীকে পছন্দ না হলে ‘নোটা’ দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে ভোটারদের।

এএম/

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ