শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :

হামলাকারীদের পরিচয় দিয়ে ফরিদের স্ট্যাটাস, সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: হামলাকারীদের পরিচয় দিয়ে এবার ফেসবুক স্ট্যাটাস দিলেন ছাত্রলীগের মারধরের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উর্দু বিভাগের ছাত্র ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ফরিদ হাসান।

শুক্রবার দিবাগত রাতে (৬ এপ্রিল) হামলাকারীদের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে এ স্ট্যাটাস দেন তিনি।

স্ট্যাটাসসে ফরিদ লিখেছেন, ‘গত ২৮ তারিখ রাতে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে আমার কথা হয়। তিনি বলেন যে, তুমি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার কর। আগামীতে তোমার জন্য ভালো কিছু অপেক্ষা করছে। আমি রাত ৩টায় একটি স্ট্যাটাস দিই, যা এখনও আমার টাইমলাইনে আছে। সেখানে তিনি কমেন্ট করেন ‘আগামীর জন্য শুভকামনা’।

সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সাধারণ সম্পাদক আমাকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে চাপ দেন, একাধিকবার ফোন দেন এবং আমার মেসেঞ্জারে মেসেজ দেন। যেগুলো নিচে দেওয়া হবে এবং রাব্বানী ভাই বলছেন, ‘আমার রুমে নাকি মাদক পাওয়া গেছে’। এটা মিথ্যা ও বানোয়াট কথা। আমি ১৫৯ নম্বর রুমে থাকতাম এবং আমার আইডি কার্ডেও ১৫৯ নম্বর রুম আছে। আপনারা হলের প্রভোস্ট স্যারের কাছে শুনতে পারেন, সেখানে কখনো কি কোনো প্রকার মাদক পাওয়া গেছে? কিংবা কখনও ১৫৯ রুম সিলগালা করা হয়েছে?

রাব্বানী ভাই বলেছেন, ১৫৯ নম্বর রুম নাকি সিলগালা করা। এটা মিথ্যা এবং বানোয়াট কথা। ১ তারিখ রাতে যারা আমার ওপর হামলা করে, তারা প্রত্যেকেই হল ছাত্রলীগের পোস্টেড। স্বতন্ত্র নির্বাচন করতে চাওয়ায় যদি ছাত্রলীগের এই সন্ত্রাসীরা এইভাবে হামলা করতে পারে, তাহলে আমি যদি নির্বাচন করতাম তাহলে তারা আমার সঙ্গে কী ব্যবহার করত?

হামলার শিকার ফরিদ ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে নয় জন ছাত্রলীগ কর্মীকে হামলার জন্য দায়ী করেন।

১. মেহেদী হাসান তাপস (সংস্কৃত বিভাগ)

২. তাহসান আহমেদ রাসেল (সঙ্গীত)

৩. ওয়াসিফ হাসান পিয়াস (ইংরেজি)

৪. সানাউল্লাহ সায়েম (সংস্কৃত)

৫. রুবেল হোসেন (ইসলামিক স্টাডিজ),

৬.মুজাহিদ (ফার্সি),

৭.ছাব্বির (পরিসংখ্যান)

৮. মাসুদ রানা (ইসলামের ইতিহাস)

৯. জুলিয়াস সিজার তালুকদারের (অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগ ও জিএস)

তিনি লিখেছেন, এই সন্ত্রাসীরা প্রত্যাক্ষভাবে আমার ওপর হামলা করে এবং নির্মমভাবে আঘাত করে।

তিনি আরও লিখেন, যখন আমি আমার হলে প্রভোস্ট স্যারের কাছে অভিযোগ দিতে যাই, ঠিক তখনই ছাত্রলীগের বর্বর সন্ত্রাসীরা নুরু ভাই, রাশেদ ভাই, ফারুক ভাই ও আখতারের ওপর হামলা করে। সেটা ছিল খুবই বর্বর। আমার বোন বেনজির আপু, ইমি এবং অরণীর ওপর যে অমানবিক হামলা করেছে এবং যেসব ভাষা ব্যবহার করেছে, সেটা কোনো বিকৃত মানসিকতার লোক ছাড়া বলতে পারে না। যারা এই ধরনের জঘন্য কাজ করতে পারে, তারা কখনো ছাত্রলীগ করতে পারে না। আমি এই সব সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

এমএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ