সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ ।। ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ১০ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আনিসুজ্জামান চৌধুরী বিরতিকে কাজে লাগিয়ে মুসলিম ফুটবলারদের ওমরা পালন ধর্ষণের বিচারে শরয়ি আইন থাকলে, কোন শিশু আর ধর্ষিত হতো না: উলামা-জনতা ঐক্য পরিষদ শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় ঈদে নতুন নোট বিতরণ স্থগিত ধর্ষণ এবং নারীর পরিচয় নিয়ে অবমাননায় ১৫১ আলেমের বিবৃতি ১০ম তারাবির নামাজে তিলাওয়াতের সারমর্ম ত্রাণ বন্ধের পর এবার গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করছে ইসরায়েল তারাবিতে ফাইভ জি স্পিডে তেলাওয়াত করবেন না: আজহারী ‘আলেমদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তোলা জিহাদ নয়, সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

'ইতিহাসের মহানায়ক' শেখ মুজিবুর রহমান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হাবীব ইমন । । 

দক্ষিণ আফ্রিকার উপর একটি বিখ্যাত উপন্যাস রয়েছে, ‘ক্রাই, দ্য বিলাভড কান্ট্রি’। কাঁদো, প্রিয় দেশ। বাঙালির হৃদয়েও একটি স্বতঃস্ফূর্ত ক্রন্দন আছে। একে অনুধাবন করার শক্তি আমার নেই।

কেননা পঁচাত্তরের আগস্ট মাসের পনের তারিখে দেশি-বিদেশি শক্তির ষড়যন্ত্রের মদদে ঘাতকরা বাঙালির শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। তার বহু আত্মীয়-স্বজনকে হত্যা করা হয়েছে।

এর নাম ক্রাইম অ্যাগেনিস্ট হিউম্যানিটি। তার জন্য জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত হয়নি। রাষ্ট্রীয় শোকদিবস পালন করা হয়নি। রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টি হয়নি।

দেশের জীবন থেকে তাকে মুছে ফেলার সব আয়োজনই করা হয়েছিল। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বহুল ডিগবাজি খাওয়া ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের একটি বই ‘কারাগারে কেমন ছিলাম’ [২০০৭-২০০৮] ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল।

এ বইয়ের ৩২৪ পৃৃষ্ঠায় (শুক্রবার, ১৫ আগস্ট-২০০৮, দিন-৪৯১) তিনি লিখেছেন, ‘আজ জাতীয় শোক দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ধানমন্ডির বাড়িতে স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে খুন হন। জাতির ইতিহাসে এ এক মহাশোকের দিন।’

মওদুদ আহমেদ ১৯৮৩ সালে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনকাল’ বইয়ে বঙ্গবন্ধুর বিশদ মূল্যায়ন করেছেন। সেখানে বঙ্গবন্ধু তিনি ইতিহাসের মহানতম নায়ক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।বঙ্গবন্ধু ছিলেন অন্য সব মানুষের মতোই ভালো-মন্দ মিলিয়ে এই মর্ত্যরেই মানুষ। তিনি অতিমানব ছিলেন না। কিন্তু দেশ ও কালের গণ্ডির মাঝে থেকেও তিনি ছিলেন যুগের মহামানব।

সমাজ ও রাজনীতিতে সবাই ‘নেতা’ কিংবা ‘নায়কের’ স্থান করে নিতে পারে না, হতে পারে না, হাতে গোনা কিছু মানুষের পক্ষেই কেবল তা সম্ভব হয়। মাঝে মাঝে অসাধারণ কারিশমা-সম্পন্নরা অবশ্য ‘বড় নেতা’ অথবা ‘মহানায়কের’ আখ্যায়ও ভূষিত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন।

তারা সবাই সম-সাময়িক কালের নেতা, চলতি পারিপার্শ্বিকতার প্রেক্ষাপটের নায়ক। কিন্তু ‘ইতিহাসের নায়ক’ হওয়ার মতো যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষ সব কালে, সব যুগে সৃৃষ্টি হয় না। ইতিহাস আপন তাগিদেই তার ‘নায়কের’ উদ্ভব ঘটায়, আর সেই ‘ইতিহাসের নায়ক’-ই হয়ে ওঠে ইতিহাস রচনার প্রধান কারিগর-স্থপতি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান দেশের একজন বড় মাপের নেতা ও রাজনীতির একজন মহানায়কই শুধু ছিলেন না, তিনি ছিলেন ‘ইতিহাসের নায়ক’। আরও সত্য করে বললে, তিনি ছিলেন ‘ইতিহাসের এক মহানায়ক’।

শেখ মুজিবুর রহমান তার জন্মলগ্ন থেকেই ‘জাতির জনক’ ছিলেন না। কিংবা তার উপর এ অভিধা চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। শুরুতে তিনি ছিলেন দুরন্ত কিশোর-মুজিবুর। অনেকের কাছে মুজিব ভাই। তারপর মুজিবুর রহমান, অথবা শেখ মুজিবুর রহমান। তারপর বহুদিন ধরে মানুষের মুখে মুখে তার নাম ছিল ‘শেখ সাহেব’।

ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের পর নতুন পরিচয় ‘বঙ্গবন্ধু’। একাত্তরের পর তিনিই স্বাধীন দেশের স্থপতি, ‘জাতির জনক’। তিন দশক সময়কালের মধ্যে এভাবেই ঘটেছিল তার অবস্থানের উত্তরণ।

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ