সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ ।। ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ১০ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আনিসুজ্জামান চৌধুরী বিরতিকে কাজে লাগিয়ে মুসলিম ফুটবলারদের ওমরা পালন ধর্ষণের বিচারে শরয়ি আইন থাকলে, কোন শিশু আর ধর্ষিত হতো না: উলামা-জনতা ঐক্য পরিষদ শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় ঈদে নতুন নোট বিতরণ স্থগিত ধর্ষণ এবং নারীর পরিচয় নিয়ে অবমাননায় ১৫১ আলেমের বিবৃতি ১০ম তারাবির নামাজে তিলাওয়াতের সারমর্ম ত্রাণ বন্ধের পর এবার গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করছে ইসরায়েল তারাবিতে ফাইভ জি স্পিডে তেলাওয়াত করবেন না: আজহারী ‘আলেমদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তোলা জিহাদ নয়, সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

আবুল কালাম জাকারিয়া রহ. ও আমার না পারা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুসা আল হাফিজ
কবি, কলামিস্ট, গবেষক

গত সপ্তাহের ছবি। একটি কুরআন শিক্ষা বোর্ড সনদ উত্তীর্ণকারীদের সনদপত্র দেবে বলে একটি আলোচনা সভার আয়েজন করে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে। সেখানে তাঁর সাথে আমার সর্বশেষ সাক্ষাত। দীর্ঘ কথা হয়েছিলো মহান এই আলেমে দ্বীনের সাথে। আলোচ্য বিষয় ছিলো কুরআন শিক্ষার সম্প্রসারণ।

জেনারেল শিক্ষিতদের পাশাপাশি বস্তিবাসী শিশু-কিশোর, ঝরে পড়া শিক্ষার্থী, চা-শ্রমিক, রিকসা ও গাড়িড্রাইভার, হোটেল কর্মচারি ইত্যাদি শ্রেণির মধ্যে কুরআনি শিক্ষা ও চেতনা ছড়িয়ে দেবার একটি পরিকল্পনার কথা তাঁকে জানালাম। মক্তবব্যবস্থা নিয়ে কিছু লক্ষ্যের কথা বললাম। অসুস্থ তাঁর চেহারা খুশিতে ঝলমলিয়ে উঠলো। বললেন, আমার সহযোগিতা পাবেন, ইনশা আল্লাহ।

গত বছর একই মিলনায়তনে একটি কুরআন শিক্ষা বোর্ড আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্যে আমি তাঁর সমীপে অনুরোধ করেছিলাম, সিলেটে সক্রিয় বোর্ডগুলোকে একই প্লাটফর্মে নিয়ে আসা হোক। সেটা সম্ভব আপনার নেতৃত্বে। আপনি উদ্যোগ নিলে সেটা সহজেই সম্ভব। বক্তব্য রেখেই আমি চলে আসি।

এক বছর পরে একই জায়গায় একই বিষয়ে আয়োজিত সভায় তিনি বললেন, সবগুলো বোর্ডকে যার যার স্বাতন্ত্র বজায় রেখে একই প্লাটফর্মে আনা যায়। এজন্য সনদের পরীক্ষা সমন্বিতভাবে হতে পারে। গত বছরে প্রদত্ব প্রস্তাব আমার মনে আছে। এটা জরুরি ।

কী প্রস্তাব দিয়েছিলাম আগের বছর, আমার তখন মনে ছিলো না, কিন্তু তিনি ভুলেননি। আমাকে একান্তে বললেন, ঐক্যের একটি ফর্মুলা বানান। এটা আপনি করবেন। যত তাড়াতাড়ি পারেন, করেন। বিলম্ব না করাই উচিত।

বিলম্ব না করাই উচিত, কথাটির মধ্যে কী রহস্য ছিলো, বুঝিনি। ভাবছিলাম, আগামি সপ্তাহে কাজটি করবো। যাবো তাঁর সমীপে। এ সপ্তাহ গেছে অন্যান্য ব্যস্ততায়। বিবিধ কাজকামে। আমি কি জানতাম, সময় শেষ করে চলছি! যথার্থ মানুষটিকে আর পাবো না এ সপ্তাহের পর। তিনিই ছিলেন যথার্থ ব্যক্তি, যিনি ডাকলে সবাই একই ছাদের নিচে আসা অনিবার্য।

কিন্তু হায়, তিনি চলে গেলেন, ছাদ ভেঙ্গে গেলো। ছাদ নেই, ছাতা নেই, আর আমি হতবাক, স্তব্ধ, বাকরুদ্ধ। নিজেকে ক্ষমা করতে পারছি না।

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ