শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ইসলামি লেখক ফোরামের বৈঠক অনুষ্ঠিত, আসছে নতুন কর্মসূচি নিজের হাতে আইন তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স উত্তপ্ত খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা নেতানিয়াহুকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ইসরায়েলি নাগরিক গ্রেপ্তার ‘উলামায়ে কেরামদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন অসম্ভব’ নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে প্রধান উপদেষ্টার গাজাজুড়ে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ২৮ ফিলিস্তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত 'ঢাবি ও জাবির হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে'

আবুল কালাম জাকারিয়া রহ. ও আমার না পারা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুসা আল হাফিজ
কবি, কলামিস্ট, গবেষক

গত সপ্তাহের ছবি। একটি কুরআন শিক্ষা বোর্ড সনদ উত্তীর্ণকারীদের সনদপত্র দেবে বলে একটি আলোচনা সভার আয়েজন করে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে। সেখানে তাঁর সাথে আমার সর্বশেষ সাক্ষাত। দীর্ঘ কথা হয়েছিলো মহান এই আলেমে দ্বীনের সাথে। আলোচ্য বিষয় ছিলো কুরআন শিক্ষার সম্প্রসারণ।

জেনারেল শিক্ষিতদের পাশাপাশি বস্তিবাসী শিশু-কিশোর, ঝরে পড়া শিক্ষার্থী, চা-শ্রমিক, রিকসা ও গাড়িড্রাইভার, হোটেল কর্মচারি ইত্যাদি শ্রেণির মধ্যে কুরআনি শিক্ষা ও চেতনা ছড়িয়ে দেবার একটি পরিকল্পনার কথা তাঁকে জানালাম। মক্তবব্যবস্থা নিয়ে কিছু লক্ষ্যের কথা বললাম। অসুস্থ তাঁর চেহারা খুশিতে ঝলমলিয়ে উঠলো। বললেন, আমার সহযোগিতা পাবেন, ইনশা আল্লাহ।

গত বছর একই মিলনায়তনে একটি কুরআন শিক্ষা বোর্ড আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্যে আমি তাঁর সমীপে অনুরোধ করেছিলাম, সিলেটে সক্রিয় বোর্ডগুলোকে একই প্লাটফর্মে নিয়ে আসা হোক। সেটা সম্ভব আপনার নেতৃত্বে। আপনি উদ্যোগ নিলে সেটা সহজেই সম্ভব। বক্তব্য রেখেই আমি চলে আসি।

এক বছর পরে একই জায়গায় একই বিষয়ে আয়োজিত সভায় তিনি বললেন, সবগুলো বোর্ডকে যার যার স্বাতন্ত্র বজায় রেখে একই প্লাটফর্মে আনা যায়। এজন্য সনদের পরীক্ষা সমন্বিতভাবে হতে পারে। গত বছরে প্রদত্ব প্রস্তাব আমার মনে আছে। এটা জরুরি ।

কী প্রস্তাব দিয়েছিলাম আগের বছর, আমার তখন মনে ছিলো না, কিন্তু তিনি ভুলেননি। আমাকে একান্তে বললেন, ঐক্যের একটি ফর্মুলা বানান। এটা আপনি করবেন। যত তাড়াতাড়ি পারেন, করেন। বিলম্ব না করাই উচিত।

বিলম্ব না করাই উচিত, কথাটির মধ্যে কী রহস্য ছিলো, বুঝিনি। ভাবছিলাম, আগামি সপ্তাহে কাজটি করবো। যাবো তাঁর সমীপে। এ সপ্তাহ গেছে অন্যান্য ব্যস্ততায়। বিবিধ কাজকামে। আমি কি জানতাম, সময় শেষ করে চলছি! যথার্থ মানুষটিকে আর পাবো না এ সপ্তাহের পর। তিনিই ছিলেন যথার্থ ব্যক্তি, যিনি ডাকলে সবাই একই ছাদের নিচে আসা অনিবার্য।

কিন্তু হায়, তিনি চলে গেলেন, ছাদ ভেঙ্গে গেলো। ছাদ নেই, ছাতা নেই, আর আমি হতবাক, স্তব্ধ, বাকরুদ্ধ। নিজেকে ক্ষমা করতে পারছি না।

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ