সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ ।। ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ১০ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আনিসুজ্জামান চৌধুরী বিরতিকে কাজে লাগিয়ে মুসলিম ফুটবলারদের ওমরা পালন ধর্ষণের বিচারে শরয়ি আইন থাকলে, কোন শিশু আর ধর্ষিত হতো না: উলামা-জনতা ঐক্য পরিষদ শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় ঈদে নতুন নোট বিতরণ স্থগিত ধর্ষণ এবং নারীর পরিচয় নিয়ে অবমাননায় ১৫১ আলেমের বিবৃতি ১০ম তারাবির নামাজে তিলাওয়াতের সারমর্ম ত্রাণ বন্ধের পর এবার গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করছে ইসরায়েল তারাবিতে ফাইভ জি স্পিডে তেলাওয়াত করবেন না: আজহারী ‘আলেমদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তোলা জিহাদ নয়, সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

‘জার্মান সামরিক বাহিনীতে ইমাম নিয়োগের আহ্বান’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: জার্মান সামরিক বাহিনীতে প্রায় দেড় হাজার মুসলমান কাজ করছেন৷ নামাজ পড়ানোসহ ধর্মীয় পরামর্শ পেতে তারা কয়েক বছর ধরে ইমাম নিয়োগের দাবি জানিয়ে আসছেন৷ তবে এখনো দাবি পূরণ হয়নি৷

মরোক্কান মা-বাবার ঘরে জন্ম নেয়া নারিমান রাইনকে ২০০৫ সাল থেকে জার্মান নৌবাহিনীতে কাজ করছেন৷ ইতিমধ্যে তিনি দুইবার আফগানিস্তানে মোতায়েন ছিলেন৷

ডয়চে ভেলেকে রাইনকে বলেন, খ্রিস্টান সৈন্যদের পরামর্শ দেয়ার জন্য সামরিক বাহিনীতে যাজকরা আছেন, কিন্তু মুসলিমদের জন্য কোনো ইমাম নেই৷ সামরিক বাহিনীতে এই ধর্মীয় বৈষম্য দূর করতে তিনি কয়েক বছর ধরে ইমাম নিয়োগের প্রস্তাব দিয়ে আসছেন, কিন্তু এ ব্যাপারে এখনো কোনো অগ্রগতি হয়নি৷

বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েনের সঙ্গেও কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন৷

রাইনকে বলেন, দায়িত্ব পালনের সময় তিনি সবসময় একটি বিষয় মাথায় রাখেন যে, যে-কোনো সময় তার মৃত্যু হতে পারে৷ তিনি চান, মৃত্যুর পর ইসলামি রীতি অনুযায়ী তার শরীর ধোয়া হোক এবং কাফনের কাপড়ে মোড়ানো হোক৷

এ জন্য আফগানিস্তানে থাকার সময় তিনি সবসময় তার কাছে কাফনের কাপড় রাখতেন বলে জানিয়েছেন৷

এদিকে জার্মানির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, ইমাম নিয়োগ নিয়ে ‘জার্মান ইসলাম কনফারেন্স'-এর (ডিআইকে) সঙ্গে আলোচনা চলছে৷ তবে ডিআইকের প্রতিনিধিদের অভিযোগ, সরকার অনীহার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে ভাবছে৷

জার্মানির বিভিন্ন মুসলিম সংস্থা নিয়ে গঠিত জাতীয় ইসলাম পরিষদের প্রধান বুরহান কেসিচি জানিয়েছেন, সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে একবার ডিআইকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল৷ তারা ইমাম বিষয়ে উপদেষ্টামন্ডলিতে কারা থাকতে পারেন তাদের নাম চেয়েছিল৷ তবে পরে আর যোগাযোগ করেনি৷ ‘মনে হচ্ছে তারা এ ব্যাপারে কোনো অগ্রগতি চান না,’ অভিযোগ তার৷

জার্মানির শাসক জোটের অংশীদার এসপিডি দলের প্রতিরক্ষা বিষয়ক মুখপাত্র ফ্রিৎস ফেলগেনট্রয় ইমাম নিয়োগের বিষয়টি সমর্থন করেন৷ তবে কিছু বিষয়ে সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান তিনি৷ যেমন, তিনি বলছেন, মুসলমানদের সঙ্গে যোগাযোগ করার একটি সূত্র নেই, কারণ, জার্মানিতে ইসলামী সংগঠনের সংখ্যা অনেক৷

বছর কয়েক আগেও জার্মান সরকার মুসলমানদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ‘টার্কিশ-ইসলামিক ইউনিয়ন ফর রেলিজিয়াস অ্যাফেয়ার্স' বা ডিটিব-এর সঙ্গে কথা বলতো৷ কিন্তু তুরস্কের সঙ্গে জার্মানির সম্পর্কের অবনতি হওয়ার পর সেটি আর হচ্ছে না৷

তবে নৌ কর্মকর্তা রাইনকে বলছেন, দুই দেশের সম্পর্কের কারণে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা ধর্মীয় পরামর্শ পাওয়া থেকে বঞ্চিত থাকতে পারেন না৷

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনেকে ইসলাম নিয়ে লেখাপড়া করেছেন৷ তাছাড়া সম্প্রতি অসনাব্রুক বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ইমামরা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, তাদের সঙ্গে বিদেশি কোনো সরকারের সম্পর্ক নেই৷ এই ইমামদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়ে সামরিক বাহিনীতে নিয়োগ দেয়া যেতে পারে বলে মনে করেন রাইনকে৷

সূত্র: ডয়েচে ভেলে

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ