সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ ।। ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ১০ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আনিসুজ্জামান চৌধুরী বিরতিকে কাজে লাগিয়ে মুসলিম ফুটবলারদের ওমরা পালন ধর্ষণের বিচারে শরয়ি আইন থাকলে, কোন শিশু আর ধর্ষিত হতো না: উলামা-জনতা ঐক্য পরিষদ শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় ঈদে নতুন নোট বিতরণ স্থগিত ধর্ষণ এবং নারীর পরিচয় নিয়ে অবমাননায় ১৫১ আলেমের বিবৃতি ১০ম তারাবির নামাজে তিলাওয়াতের সারমর্ম ত্রাণ বন্ধের পর এবার গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করছে ইসরায়েল তারাবিতে ফাইভ জি স্পিডে তেলাওয়াত করবেন না: আজহারী ‘আলেমদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তোলা জিহাদ নয়, সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

সুবর্ণচরের ধর্ষণের ঘটনার প্রেক্ষিতে কিছু ভাবনা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইকরামুল হক
শিক্ষার্থী

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরপরই আলোচিত অধ্যায় জন্ম হলো নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর গ্রামে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত নিউজ ও ধর্ষিতার পারিবারিক সুত্রের ভিত্তিতে স্পষ্ট একটি বাক্য উঠে এসেছে, পারুলের দোষ একটাই তিনি প্রতিপক্ষের ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়েছেন। যার ফলে স্থানীয় কিছু চরিত্র ও বিবেকহীন মানুষের কালো একটি অধ্যায়ের জন্ম দিতে গেলো।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা তৃতীয় বারের মতো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়ে পুনরায় সরকার গঠন করেছে। গণমাধ্যমে উঠে এসেছে নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর গ্রামের ঘটনার মূল হোতা রাজনৈতিকভাবে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। দলীয়ভাবে তাকে দলথেকে বহিষ্কার করে যুগোগযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি ধন্যবাদ জানাই আওয়ামী লীগকে। তাছাড়া তদন্তকমিটি ও করে দিয়েছেন।

ঘটনায় জড়িত এমন ৭ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছেন। কোর্ট তাদের রিমান্ড দিয়েছেন। রিমান্ত শেষে আমরা হয়তো নতুন কিছু জানতে পারবো।

আজ দেখি ডিবি পুলিশের কাছে মামলা হস্তান্তর, হয়তো ভালো কিছু আশা করা যাবে। দেশ ও আন্তর্জাতিকভাবে এই ঘটনায় জড়িতদের ফাঁসির দাবি করেছেন। আমিও একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে ফাঁসির দাবি করি, কেননা আজ যদি তাদের ৫/৬ বছর কারাদণ্ড দন্ডিত করে মুক্তি দেয়া হয়, তারা নির্ভয়ে আবারো এমন ঘঠনার সাথেই জড়িত হবে। তাতে ধর্ষণের সীমারেখা জরিপের বাইরেও চলে যেতে পারে।

আসুন তারপর জেনে নিই এখন ধর্ষিতা পারুলের অবস্থা কী? তিনি এখন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। অনেকটা সুস্থের পথে। দু'আ করি যেন পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন।

এদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিকদলের নেতাকর্মীরা ছুটে গেছেন সেই রাতের মজলুম চার সন্তানের জননীকে দেখতে। বিভিন্ন ইসলামি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীগণও তার জন্য দু'আ ও সরাসরি গিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন। অনেক মাদরাসা তরুণ প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছেন। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা।

আমাদের সাজের কিছু মানুষ আছে যারা সর্বদা আলেম ওলামা ও কওমি মাদরাসার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লাগে। তাই খুব সংশয়বোধ করছি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কিছুদিনের মধ্যে একদল ফেসবুক ইউজার বলবে নাতো? আলেম ওলামা এভাবে পর্দা খেলাফ করে চার সন্তানের জননী পারুলকে দেখতে যাওয়া কি দরকার?

মনে রাখবেন। এরা সমাজের চিহ্নত কিছু মানুষ যারা সর্বদা আলেম ওলামা ও কওমি মাদরাসাকে ছোট নজরে দেখে। তাদের এ পরিকল্পিত অপপ্রচারে কিছুই হবে না। বরং আলেম ওলামা কওমি মাদরাসার সম্মান বৃদ্ধি হবে।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ