শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা ইসলামি লেখক ফোরামের বৈঠক অনুষ্ঠিত, আসছে নতুন কর্মসূচি সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কারাগারে উত্তপ্ত খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি

শীতে শিশুর গোসলে করণীয়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

নাবহান মামদুহ: আজকের শিশুরাই ভবিষ্যত। যত্ম ও সুন্দর পরিচর্যা না দিলে তাদের বেড়ে ওঠা হবে দুঃসাধ্য। ইসলামে শিশুর পরিচর্যার প্রতি দেয়া হয়েছে বিশেষ গুরুত্ব। অবস্থা, পরিবেশ, চাহিদানুযায়ি পরিশীলিত কাজ ইসলামের দাবি। তাই আবহাওয়ার প্রতি লক্ষ রেখেই করতে হবে কাজ। শিশুকে গোসল দিতেও লক্ষ রাখতে হবে আবহাওয়ার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার প্রতি। শীতে শিশুর গোসল যাতে সুরক্ষার হয়, তাই (ডাঃ মোঃ আব্দুল হাকিমের সৌজন্যে) জেনে নেয়া যাক কয়েকটি করণীয় পদ্ধতি।

১. জন্মের প্রথম তিন দিন শিশুকে গোসল না করানোই ভালো। কম ওজনের এবং অপরিণত শিশুর ক্ষেত্রে আরো দেরি করা ভালো- বিশেষ করে শীতের দিনে।

২. শিশুকে প্রতিদিন গোসল করানোর প্রয়োজন নাই। ২-৩ দিন পর পর গোসল করালেও চলে। শিশুকে খোলা জায়গায় গোসল না করানোই ভালো। গোসল করাতে হবে বাথরুম, শোবার ঘর বা এমন জায়গায়-যেখানে শিশুর শরীরে বাতাস না লাগে। গোসলের সময় ঠান্ডা বাতাস শিশুর শরীর থেকে তাপ টেনে নেয় এবং শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে ।

৩. শিশুকে গোসলের আগে দুধ না খাওয়ানোই ভালো- এতে গোসলের সময় বাচ্চা বমি করতে পারে। যিনি শিশুকে গোসল দিবেন, তিনি গোসলের দেওয়ার আগে হাতের অলংকার খুলে ফেলবেন এবং ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নেবেন।

৪. একটি গামলায় কুসুম গরম পানি নিতে হবে-যেনো শিশু চামড়ার সাথে সহনীয় তাপমাত্রার হয়। শিশুকে গোসল করানোর আগে কবজি পর্যন্ত হাত ডুবিয়ে পানির উষ্ণতা পরীক্ষা করাতে হবে।

৫. শিশুর গোসলের পানিতে ডেটল বা স্যাভলন মেশানো যাবে না। এতে শিশুর শরিরে লালচে দানা উঠতে পারে। শিশুর দেহের ভাঁজগুলো যেমন-গলা,কানের পিছন,কুচকী,বগল, যৌনাঙ্গ ও নিতম্বের ভাঁজগুলো ভালোভাবে পরিস্কার করে দিতে হবে।

৬. পায়খানা করে থাকলে গোসলের আগে পরিস্কার করে নিতে হবে-যাতে গামলার পানি অপরিস্কার না হয়। বেশী ছোট শিশুর ক্ষেত্রে সাবান-শ্যাম্পু ব্যবহার না করাই ভালো এবং মাথায় পানি না দিয়ে মাথা মুছিয়ে দেয়া ভালো। তবে বড় শিশুর ক্ষেত্রে বেবীসোপ বা কোমল সাবান ব্যবহার করা যাবে।

৭. শিশুকে পানিতে ডুবানো যাবে না । গোসল যথাসম্ভব কম সময়ে শেষ করা ভালো। মেয়ে শিশুদের স্ত্রী অংগে অনেক সময় সাদা ময়লা জমে। গোসলের আগে ঐ স্থানটা পানিতে ভেজানো পরিস্কার তুলা দিয়ে পরিস্কার করে দিতে হবে।

৮. গোসলের পরপরই শুকনো পরিস্কার তোয়ালে দিয়ে শিশুকে জড়িয়ে সর্বত্র আলতো চাপ দিয়ে শিশুর শরীরের সব পানি ভালোভাবে মুছে নিতে হবে। শরিরে পরিস্কার শুকনা কাপড়, মাথায় টুপি এবং হাতে-পায়ে মোজা পরাতে হবে। গোসলের পরপরই শিশুর মাথা বা শরীরে লোশন, তেল বা পাউডার না লাগানই ভালো।

৯. গোসলের পর শিশুকে বুকের দুধ দিতে হবে।এতে করে মায়ের বুকের গরম,দুধের গরমে সে গরম বোধ করবে এবং ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা কমে যাবে।

-এইচএএম


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ