শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬


ফিরে দেখা ১৯৭০ এর জলোচ্ছ্বাস, ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম

ভয়াল ১২ নভেম্বর। ১৯৭০ সালের এইদিনে, ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় দেশের উপকূলীয় অঞ্চল। সে দুর্যোগে প্রাণ হারায় অন্তত ১০ লাখ মানুষ।

সেই বিভীষিকাময় দিনের স্মরণে এখনও আঁতকে ওঠেন অনেকে। দুর্যোগ ঝুঁকিতে থাকা উপকূলীয় এলাকায় আজও পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র নির্মিত হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

১৯৭০ সালের ১১ নভেম্বর সকাল থেকেই ছিল গুড়িগুড়ি বৃষ্টি। পরদিন ১২ নভেম্বর আবহাওয়ার আরো অবনতি হয়, আর সেদিন মধ্যরাতে ফুঁসে ওঠে সমুদ্র।

তীব্র বেগে লোকালয়ের দিকে ধেয়ে আসে ৩০/৪০ ফুট উঁচু ঢেউ। মুহূর্তেই ভেসে যায় মানুষ, গবাদি পশু, বাড়ি-ঘর এবং ক্ষেতের ফসল। সে দুর্যোগের পর সব জায়গায়ই পড়ে ছিল কেবল লাশ আর লাশ।

৪৮ বছর আগের সেই ভয়াল স্মৃতি এখনো তাড়া করে ভোলার বাসিন্দাদের। সে ধ্বংসযজ্ঞে বিরানভূমিতে পরিণত হয় চর কুকরি-মুকরিসহ ভোলার অধিকাংশ এলাকা।

তবে, এতো বছর পরও ঝড়-জলোচ্ছ্বাস বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিরাপদ আশ্রয়ের সুযোগ পায় না উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ। স্থানীয়দের এ অভিযোগের বিষয়ে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি ভোলার উপ-পরিচালক বলছেন, এখনো জেলার অর্ধশতাধিক চরাঞ্চলের তিন লক্ষাধিক মানুষ চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।

সেদিনের ভয়াবহতার শিকার লক্ষ্মীপুরের উপকূলেও কোনো টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ হয়নি বলে অভিযোগ উপকূলবাসীর।

প্রাকৃতিক দুযোগ মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দারা।

নির্বাচনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের নির্দেশ ইসির


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ