শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল

দুই দিনের মাথায় জাতীয় ঐক্যে ফাঁটল, সরে যাচ্ছেন বদরুদ্দোজা চৌধুরী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: গত পরশু শনিবার জাতীয় ঐক্যের ঘোষণা দিয়েছেন গণফোরাম ও যুক্তফ্রন্টের নেতারা। প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তারা ৫ দাবি ও ৯ লক্ষকে সামনে রেখে ঐক্যের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে সপ্তাহ পার না হতেই তাতে ফাঁটল ধরতে শুরু করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে ও মিছিলে যুক্তফ্রন্টের অন্তর্ভুক্ত জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না এবং বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী উপস্থিত থাকলেও অনুপস্থিত ছিলেন যুক্তফ্রন্ট ও বিকল্পধারার সভাপতি ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী।

বাংলাদেশের রাজনীতি

সে সংবাদ সম্মেলনের ছবি মিডিয়ায় প্রকাশের পর পরই সমালোচনা শুরু হয়। প্রশ্ন উঠতে থাকে বদরুদ্দোজা চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে নেই কেন।

সূত্র জানিয়েছে, শুধু জাতীয় ঐক্যের সঙ্গেই নয়, যুক্তফ্রন্টের সঙ্গেও যোগাযোগ কমিয়ে দিয়েছেন বিকল্পধারার চেয়ারম্যান বি. চৌধুরী।

গতকাল রোববার বি. চৌধুরীর বারিধারার বাসায় বিকল্প ধারার একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বি. চৌধুরী ছাড়াও মাহী বি. চৌধুরী এবং বিকল্পধারার অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে বলা হয়, জাতীয় ঐক্য হচ্ছে বিএনপির বি টিম। বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য আমরা ঐক্য গড়বো না।

সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে বঙ্গভবন থেকে বের করে দিয়েছিল বিএনপি। এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে তার মধ্যে। মনে করা হচ্ছে এ কারণেই বিএনপি ক্ষমতায় আসে এরকম কোনো কাজ তার দল করবে না।

গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন এবং যুক্তফ্রন্ট নেতা ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় বিএনপিকে যুক্ত করার জন্য যে বাড়াবাড়ি করছেন তা বি. চৌধুরীর ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে।

ড. কামাল ও মান্নার বিএনপির প্রতি দুর্বলতা এবং জাতীয় ঐক্যে দলটিকে নিতে তাঁদের উদগ্রীব মনোভাব দেখেই বি. চৌধুরী যুক্তফ্রন্ট এবং জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার কার্যক্রম থেকে আস্তে আস্তে নিজেকে গুটিয়ে ফেলছেন। এছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির কাছ থেকে ১৫০ আসনের দাবিতেও অনড় বি. চৌধুরী।

আসলে বি. চৌধুরী চাইছিলেন, বিএনপি তাদের কাছে এসে আত্মসমর্পণ করুন। কিন্তু ঐক্য প্রক্রিয়ার দুই নেতা ড. কামাল ও মাহমুদুর রহমান মান্না নিজেরাই বিএনপিকে ঐক্যে নিতে অতি উৎসাহ দেখাচ্ছেন। এ কারণে জাতীয় ঐক্য ও যুক্তফ্রন্টের কার্যক্রম থেকে ধীরে ধীরে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বি. চৌধুরী।

জাতীয় ঐক্য ঘোষণা; পাঁচ দাবি, নয় লক্ষ্য

-আরআর

সম্পূর্ণ ফিতে নিন অ্যাকাউন্টিং ও ইনভেস্টরি সফটওয়ার


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ