শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা নেতানিয়াহুকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ইসরায়েলি নাগরিক গ্রেপ্তার 'উলামায়ে কেরামদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন অসম্ভব'   নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে প্রধান উপদেষ্টার গাজাজুড়ে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ২৮ ফিলিস্তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত 'ঢাবি ও জাবির হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে' ঢাবিতে যুবক হত্যায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন আটক কওমী মাদরাসার ছাত্রদেরকে বিসিএস এ অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া বৈষম্য: মুফতী ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই  সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকায় সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ

ট্রেন কিংবা বাসে বমি থেকে বাঁচার ১০ উপায়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

তামিম আহমেদ: ঈদের ছুটিতে অনেকেই বাড়ি যাচ্ছেন। প্রিয়জনের সাথে ঈদ উদযাপনের আনন্দে বড়ির পথে ভ্রমণও হয়ে উঠে আনন্দময়। কিন্তু মূহুর্তেই সে আনন্দ মাটি করে দিতে পারে বমি কিংবা বমির প্রবণতা।অনেকেরই গাড়িতে বা বাসে ভ্রমণ করলে বমি হয় কিংবা বমির ভাব হয়।

এই সমস্যার শুরু মস্তিষ্কে। যখন কেউ গতিশীল কোনো যানবাহনে থাকে, কিন্তু মস্তিষ্ক বিষয়টি বুঝতে পারে না, তখনই সমস্যাটা হয়। এর কারণ চোখ, কান এবং দেহের সমন্বয়হীনতা। আর তখনই মস্তিষ্কের উপরে বাড়তি চাপ পড়ার কারণে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।

প্রতিকার

১. ভ্রমণের আগে অতিরিক্ত তেল বা মশলাযুক্ত কোনো কিছু খাবেন না।

২. চেষ্টা করবেন কোনো শক্ত খাবার না খেতে। তরল খাবার খেলে সমস্যা কম হয়।

৩. বাস, ট্রেন বা লঞ্চে শুকানো আদার গুড়া পাওয়া যায়। এটিও সারাক্ষণ চিবাতে পারেন বমি বমি ভাব এড়ানোর জন্য।

৪. ভ্রমণপথে এই ধরণের বমি বমি ভাব রোধ করার কিছু ওষুধ পাওয়া যায়। চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে এই ওষুধ খেয়ে নেয়া যেতে পারে ভ্রমণের আগে।

৫. যাত্রা শুরু করার আগে ঝাল-মশলাযুক্ত খাবার, কোমল পানীয় বা চিপস ইত্যাদি খাবেন না। যারা বমির সমস্যায় ভোগেন তারা প্রয়োজনে হালকা কিছু খেয়ে বাহনে উঠুন। যাত্রাপথে ভারী খাবার পরিহার করাই ভালো।

৬. অতিরিক্ত ঘ্রাণ বা সুগন্ধযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ভ্রমণের সময় সাথে বিশুদ্ধ খাবার পানি রাখুন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। দারুচিনি, লবঙ্গ ও টক জাতীয় খাবার বমিভাব দূর করে। যাত্রাপথে এগুলো সাথে রাখতে পারেন।

৭. ট্রেন, বাস বা গাড়ি যেদিক মুখ করে সামনে এগুচ্ছে তার উলটো দিক ফিরে কখনোই বসবেন না। এতে বমিভাব আরো প্রবল হয়। বাহন যেদিকে এগুচ্ছেন সেদিক মুখ করে বসুন।

৮. বাসে কিংবা গাড়িতে পেছনের দিকের সিটে বসার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। পেছনের দিকে সিটে ঝাঁকুনি বেশি লাগে যা অনেক সময় বমির কারন হয়ে দাঁড়ায়।

৯. চলন্ত অবস্থায় বই পড়া, মোবাইলে গেম খেলা বা নেট ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। এর ফলে সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।

১০. যাত্রাপথে অন্য যাত্রীকে বমি করতে দেখে অনেকের বমি হতে পারে। তাই যাত্রীদের দিক থেকে মনোযোগ সরিয়ে অন্য দিকে মনোযোগ দিন। এক্ষেত্রে জানালার পাশে বসে বাইরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।

যাত্রাপথে বমির প্রধান কারন মোশন সিকনেস। গতি জড়তার ফলে মস্তিষ্কে সমন্বয়হীনতার কারণে এটি হয়ে থাকে।

আরও পড়ুন- পেঁপে খাওয়ার ৬টি উপকারিতা


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ