আওয়ার ইসলাম : আমরা যখন পরম করুণাময় আল্লাহর কাছে দোয়া করি, তখন কীভাবে চাইব, কী চাইব, কোনটি আগে চাইব- এমন নানা প্রশ্ন ঘিরে ধরে। এমন ভাবনার সঠিক দিশা রয়েছে হাদিসে। ইমাম আবু দাউদ তার সুনান গ্রন্থে সংকলন করেছেন, উম্মুল মুমিনিন আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বলেন, ‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দোয়ায় ব্যাপক অর্থপূর্ণ বাক্য ব্যবহার পছন্দ করতেন। এছাড়া অন্য বাক্যগুলো এড়িয়ে যেতেন।’ (হাদিসটিকে শায়খ আলবানি সহিহ বলেছেন।)
আবু দাউদের ব্যাখ্যাগ্রন্থ আউনুল মাবুদে শায়খ আজিমাবাদি (রহ.) বলেন, ‘অর্থপূর্ণ বাক্য মানে দুনিয়া-আখিরাত উভয় জাহানের কল্যাণ সংক্রান্ত দোয়া করতেন। যে দোয়ার শব্দ হত কম, কিন্তু অর্থ হত ব্যাপক। যেমন আমরা দেখি কুরআনের (নিম্নোক্ত) আয়াতে এবং হাদিসে দুনিয়া-আখিরাতের সুস্থতার দোয়ায়।’
সহিহ বুখারি ও মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে, আনাস (রা.) বলেন, অধিকাংশ সময় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দোয়া হত কুরআনের (নিম্নোক্ত) আয়াত। ইমাম মুসলিম আরও যোগ করে বলেন, আনাস (রা.) নিজেও যখন দোয়া করতেন, এ দোয়া তিনিও উচ্চারণ করতেন।
দোয়াটি হলো :
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
উচ্চারণ : রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও ওয়া ফিলআখিরাতি হাসানাতাও ওয়াকিনা আযাবান্নার
অর্থ : আর তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলে-হে পরওয়ারদেগার! আমাদিগকে দুনয়াতেও কল্যাণ দান কর এবং আখেরাতেও কল্যাণ দান কর এবং আমাদিগকে দোযখের আযাব থেকে রক্ষা কর। (সূরা বাকারা, আয়াত : ২০১)
আরও পড়ুন: দ্রুত বিয়ে করতে যে আমলটি করবেন
আরএম/