শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে পরাজিত শক্তি: চরমোনাই পীর ‘শিক্ষা কমিশনে দেশের সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’ আলমডাঙ্গায় রাসূল (সা.)-কে নিবেদিত কবিতা পাঠ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী শাহবাগ থানা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার পার্বত্য জেলায় চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানাল আইএসপিআর ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : ইসলামী ছাত্র আন্দোলন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না: সৌদি যুবরাজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারলে দায় বর্তাবে ইহুদিদের ওপর: ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার আ.লীগ নেতাকর্মীর প্রভাবে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সংবর্ধনা বাতিল

সড়কে দুর্ঘটনা কমাতে নতুন আইনের প্রয়োজন নেই!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রাশেদ আহমেদ শাওন
সাংবাদিক

নিরাপদ সড়কের জন্য নতুন আইনের কথা বলা হচ্ছে। তাতে লাভ কী হবে? আইনের যদি প্রয়োগই না থাকে, তাহলে নতুন নতুন আইন করার মানে কী?

গত ১০ বছরে দুর্নীতি দমন, নিরাপদ সড়ক, খাদ্য নিরাপত্তা, পরিবেশ ইত্যাদি বিষয়ে ৩৭১টি নতুন আইন, বিধি, নীতি সংসদে পাস হয়েছে। কিন্তু কয়টির সঠিক প্রয়োগ হয়েছে?

সংবিধান অনুসারে, পাস হওয়া আইন ঠিকমতো প্রয়োগ করা হচ্ছে কি না- তা যাচাই করার দায়িত্ব সংসদের। বাংলাদেশের ইতিহাসে আজ পর্যন্ত তা হয়নি।

সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হলে পরিবহন সেক্টরের নিরাপত্তার জন্য আমাদের দেশের বিদ্যমান ‘মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩’ই যথেষ্ট। নতুন আইনের কোনো প্রয়োজন নেই। এই অধ্যাদেশে কীভাবে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস সার্টিফিকেট দেয়া হবে, কাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া হবে, কে গাড়ির কন্ডাক্টর হতে পারবে, ড্রাইভারের বয়স, মানসিক ও শারীরিক যোগ্যতাসহ প্রায় সব বিষয়ই বলা আছে।

সমস্যা হচ্ছে, আইনের প্রয়োগে। দেশের ৫০ লাখ যানবাহনের মধ্যে যেখানে ২০ লাখেরই কোনো ফিটনেস সার্টিফিকেট নেই, সমসংখ্যক ড্রাইভারের লাইসেন্স নেই। পুলিশ যে এসব জানে না তা নয়। কিন্তু ওইযে, অবৈধ কর্মকাণ্ড মানেই অবৈধ উপার্জন। সেই উপার্জনের আশায়, জননিরাপত্তা কিংবা আইন তাদের কাছে কোনো ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় না।

পুলিশকে ক্ষমতা দেয়া আছে, রেজিস্ট্রেশন, রোড পারমিট বা ফিটনেস সার্টিফিকেট না থাকলে স্পটে গাড়ি আটক করার। বেপরোয়া গাড়ি চালনো কিংবা রাস্তায় প্রতিযোগিতা করলেও পুলিশ যে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারে।

এ ধরনের অপরাধের জন্য ড্রাইভারদের ছয়মাসের সাজা এবং ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান আছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত যাত্রীদের কয়জন এই আইনের প্রয়োগ দেখেছেন?

আইন প্রয়োগের জায়গায় যদি দুর্নীতি থাকে, তবে নতুন নতুন আইন কোনো সুফল বয়ে আনে না। সম্প্রতি গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, পুরো পরিবহণ ব্যবসাটিই প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের দখলে। বেনামে তাদের সঙ্গে আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।

এ পরিস্থিতিতে আইনের প্রয়োগ কীভাবে করা যায় সেটাই বড় কথা। বিদ্যমান আইনেই সমস্যার সমাধান সম্ভব। প্রশ্ন হচ্ছে, প্রয়োগ করবে কে?

নিরাপদ সড়ক কিভাবে সম্ভব?

-আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ