রকিব মুহাম্মদ
আওয়ার ইসলাম
ইমরান খানের প্রধানমন্ত্রী হওয়া ঠেকাতে বিরোধী দলের সম্মিলিত জোটের পক্ষ থেকে পার্লামেন্টে প্রার্থী নামানোর ঘোষণা এসেছে। ইমরানকে চ্যালেঞ্জ জানাতে জোটের প্রধান দুই দল কারারুদ্ধ সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন ও প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর পিপিপিসহ আরও বেশ কয়েকটি দল একজোটে এই সিদ্ধান্ত নেয়।
দল দুটির নেতৃত্বে কয়েকটি ছোট দল নিয়ে অল পার্টিজ কনফারেন্স (এপিসি) বলেছে, তারা পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী দেবে এবং সবাই মিলে তাকে সমর্থন দেবে। যাতে ইমরান খান দেশটির প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন।
পাকিস্তানে গত সপ্তাহের নির্বাচনে প্রকাশিত ফলাফল বলছে ইমরানের দল পিটিআই জাতীয় পরিষদে ১১৫টি আসনে জয়ী হয়েছে।তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য জাতীয় পরিষদের ২৭২টি আসনের মধ্যে ১৩৭টি আসনে জয়ের প্রয়োজন ছিল। সরকার গড়তে ছোট দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে দলটি।অন্যদিকে পিএমএল-এন ও পিপিপির সম্মিলিত আসন ১০৭।
পিএমএল ও পিপিপিসহ আরও বেশ কয়েকটি ছোট ছোট দলের সমন্বয়ে গঠিত বিরোধী জোট বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে প্রার্থী দেয়ার ঘোষণা দেয়।
নির্বাচনে পিএমএল-এন ৬৪টি এবং পিপিপি ৪৩টি আসন পেয়েছে। এ ছাড়া এপিসির অন্তর্ভুক্ত অন্যতম দল মুত্তাহিদা মজলিস-ই-আমল ১৩টি আসন পেয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার এপিসির দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।নওয়াজের ছোট ভাই পিএমএল-এন সভাপতি শাহবাজ শরিফ ইসলামাবাদে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু শুক্রবারও তারা বড় ধরনের কোনো সিদ্ধান্তের ব্যাপারে একমত হতে পারেননি। এর আগে ২৭ জুলাই মুত্তাহিদা মজলিস-ই-আমল দলের আহ্বানে প্রথম অল পার্টি কনফারেন্সের আহ্বান করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিল না পিপিপির কোনো প্রতিনিধি।
তেহরিক-এ-ইনসাফ (পিটিআই) যখন সরকার গঠনের দিকে এগোচ্ছে, ঠিক তখনই বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী দাঁড় করানোর সিদ্ধান্ত ইমরানের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবেই হাজির হয়েছে।
আরও পড়ুন: কেমন প্রধানমন্ত্রী হবেন ইমরান খান?
আরএম/