আওয়ার ইসলাম: কুষ্টিয়া আদালত প্রাঙ্গনে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলায় আহত আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তার শরীরে আঘাতের স্থানগুলোতে করা ব্যান্ডেজ বুধবার খুলে আবারো ড্রেসিং করে দেয়া হবে।
গত ২২ জুলাই কুষ্টিয়া আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিন নিয়ে বের হওয়ার সময় ছাত্রলীগ কর্মীরা তার মাথায়, ঘাড়ের পেছনে, চোখের নিচে এংব পিঠে ইট ও লাঠি দিয়ে আঘাত করলে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন।
পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার চোখের নিচের আঘাতের স্থানে চারটি সেলাই লেগেছে। মাথার পেছনে সেলাই লেগেছে তিনটি। পিঠের আঘাতের স্থানেও দু'টি সেলাই লেগেছে।
হাইপারটেনশনের রোগী মাহমুদুর রহমান আগে থেকেই অনেকগুলো রোগে ভুগছেন। থাইরয়েড সমস্যারও রয়েছে তার। হামলার পর তার শারীরিক অবস্থার বেশ অবনতি ঘটে। যে কারণে ঢাকায় ফিরে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকেরা প্রথমেই তাকে আইসিইউ-এ নিয়ে যান।
সেখানে জরুরী চিকিৎসা দেয়ার পর কিছুটা স্থিতিশীল হলে পরে তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। তিনি নিউরো সার্জন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) অধ্যাপক ডা. শফিকুল আলমের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার শরীরে এখনো প্রচণ্ড ব্যথা রয়ে গেছে। পেইন কিলার দেয়ার কারণে খুব বেশি অনুভব করছেন না ব্যথা। তাকে হাসপাতালে কত দিন থাকতে হতে পারে প্রশ্নের জবাবে একজন চিকিৎসক জানান, ব্যান্ডেজগুলো খোলার পর বোঝা যাবে আঘাতপ্রাপ্ত স্থানগুলো কী অবস্থা। তখন হয়তো বলা যাবে কত দিনে তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া থেতে পারেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ছাত্রলীগের হামলায় রক্তাক্ত মাহমুদুর রহমান (ভিডিও)
আরএম-